একটা গোলাপ গাছে তিনটা বা চারটা রঙের গোলাপের কথা আমরা প্রায়ই শুনি, এগুলো সহজ উদ্ভিদ প্রযুক্তি। অন্য রঙের গোলাপ গাছের ডালা এনে আরেক গাছের কাণ্ডে প্রতিস্থাপিত করা হয়। এই পদ্ধতিকে গ্রাফটিং বলে। এভাবে একই গাছের আলাদা আলাদা ডাল থাকে আর ভিন্ন ভিন্ন ডালায় ভিন্ন ভিন্ন রঙের ফুল হয়।
আমরা আজ অন্য আরেকটা উদ্ভিদ প্রযুক্তির ব্যবহার করবো। এই পদ্ধতিতে একই গাছের একটাই ফুল তবে সেটার এক এক পাপড়ি এক এক রঙের। কিছু পাপড়ি দুটি রঙের মিশ্রণে। অন্য নতুন একটা রঙও হবে। এই পরীক্ষাটি অনেক সোজা আম নিজেরাই ঘরে বসে করতে পারি।
যা যা লাগবে—
১। একটা লম্বা ডালসহ সদ্য ফোটা সাদা গোলাপ
২। তিনটি ছোট কাপ। সবচেয়ে ভালো হয় ওষুধ খাওয়ার কাপগুলো হলে
৩। একটা ধারালো অ্যান্টিকাটার
৪। লাল, নীল ও হলুদ রঙের ফুড কালার
যেভাবে করব—
১। প্রথমে গোলাপের ডালটার একদম নিচের অংশের দুই ইঞ্চি সমান জায়গা অ্যান্টিকাটার দিয়ে তিনভাগে লম্বালম্বি চিড়ে নিতে হবে।
২। এবার তিনটা কাপে অল্প পানি দিয়ে তিনটি রঙ গুলিয়ে নিতে হবে।
৩। এবার গোলাপের তিনটা কাণ্ড তিনটি কাপের ডুবিয়ে বেশ ঘণ্টা খানেক রাখতে হবে।
৪। ঘণ্টা খানেক পরে দেখা যায়। সাদা গোলাপটির এক এক পাপড়ির রঙ এক এক হয়ে গিয়েছে। কোনোটা যদি লাল হয় পাশেই একটা বেগুনী পাপড়ি আবার এক পাশে কমলাও পাওয়া যাবে। নীল হলুদের মধ্যে একটা সবুজ পাপড়িও পাওয়া যেতে পারে। এ রঙ্গগুলো আমরা না দেওয়া সত্ত্বেও দুটি রঙ মিলে মিশে এমন হয়ে গিয়েছে।
কেন এমন হলো?
আমরা জানি গাছ তার কাণ্ডের মধ্য দিয়ে পানি শোষণ করে সেটা পাতা এবং ফুলে দেয়। গাছ থেকে কাটা ফুল তাই আমরা পানিতে ভিজিয়ে রাখি এতে অনেকদিন ফুলটি সতেজ থাকে। এক্ষেত্রেও ফুলটি কাণ্ড দিয়ে পানিই শোষণ করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পানিকে রঙিন করে ফেলার কারণে সেই রঙও পাপড়িতে পৌঁছে গেছে আর পাপড়িকে রাঙ্গিয়ে দিয়েছে।