দুই মাস আগে অন্ধ্র প্রদেশের কার্নুল থেকে ৩৪টি লাল চন্দন কাঠের গুড়ি পাচারের মামলায় দশ নাম্বার অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশের খাতায় নাম ওঠে নিতুর। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, “ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং বন আইনের বিভিন্ন ধারার আওতায় এই অভিনেত্রীর বিরূদ্ধে পাচারকারীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।”
একই মামলায় এক প্রযোজক কোন্ডামপাল্লি মাস্তান ভালিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০১৩ সালে ভালি প্রযোজিত সিনেমায় অভিনয় করেন নিতু আগারওয়াল। সম্প্রতি নিতুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখেরও বেশি রুপি স্থানান্তর করা হয় লাল চন্দন কাঠ পাচারকারী বালু নায়েকের অ্যাকাউন্টে। এর আগেও পাচারের মামলায় ধরা পড়া বালুকে এর মধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভালির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারেই পুলিশ নিতুকে গ্রেপ্তার করেছে। নিতু অভিনীত সিনেমাটি ভালি তৈরি করেছিলেন কাঠ পাচারের অর্থ থেকেই। পুলিশ সন্দেহ করছে এর আগেও নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পাচারকারীদের অর্থ যুগিয়েছেন নিতু।
এদিকে পুলিশি জেরার মুখে নিতু জানিয়েছেন ভালির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি এবংতার হাতে নিযর্াতনের শিকারও হয়েছেন।
নিতু আরও জানান, ২০টিরও বেশি মামলায় অভিযুক্ত ভালিকে নিয়ে তিনি অনেক আগে থেকেই চিন্তিত ছিলেন। কাঠ পাচার করার আগে লেবুর ব্যবসায় যুক্ত থাকা ভালি আগেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন একই অভিযোগে। সে সময় জেলও খাটতে হয়েছে তাকে। এরপরও কাঠ পাচার অব্যাহত রেখেছেন তিনি।