ফারহান আখতার পরিচালিত সিনেমাটি শুক্রবার ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স এবং যমুনা বক্লবাস্টার্সে মুক্তি পেয়েছে।
খবরটি গ্লিটজকে নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির আমদানিকারক ইনউইন এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার ও মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ গ্লিটজকে বলেন, “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতারা এ নিয়ে আর আপত্তি করতে পারবেন না। কারণ আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিনেমাগুলোর সেন্সর সার্টিফিকেট নিয়েছি। সেন্সর পাওয়ার পর কোনো সিনেমার প্রদর্শনের বাধা থাকতে পারে না।”
তিনি জানান, এ সপ্তাহে মাত্র দুটি হলে প্রদর্শিত হলেও ১৩ই মার্চ আরও ১৫টি হলে মুক্তি পাবে ‘ডন-টু’।
এদিকে যারা ভারতীয় সিনেমার আমদানি নিয়ে তুমুল আন্দোলন করছিলেন, তারা এখন কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। সুর পাল্টে গেছে বাংলাদেশ ঐক্যজোট নেতাদেরও।
‘ডন-টু’ সিনেমাটি মুক্তির ব্যাপারে ঐক্যজোট নেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির বর্তমান সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশের উপর আমাদের আর কোনো হাত নেই। হিন্দি সিনেমা আমদানি ইস্যুতে আমাদের দায়ের করা মামলাটির এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা শেষ মুহূর্ত অবধি আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে যাবো।”
সোহান নিশ্চিত করেই বলছেন, আদালতের নির্দেশে ইনউইন চারটি সিনেমা মুক্তি দিতে পারলেও পরবর্তীতে যদি কোনো ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানি করা হয়, তবে আবারও আন্দোলনে নামবেন তারা।
এ বছর ইনউইন এন্টারপ্রাইজ ‘ওয়ান্টেড’, ‘ডন-টু’, ‘তারে জামিন পার’ এবং ‘থ্রি ইডিয়টস’ - এ চারটি হিন্দি সিনেমা আমদানির পর তা প্রদর্শনের উদ্যোগ নিলে, এর প্রতিবাদে পথে নামে ঢাকাই সিনেমার শিল্পী, পরিচালক ও কলাকুশলীরা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তথ্য মন্ত্রণালয় সিনেমাগুলোকে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রতিবাদও জানায় তারা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের ব্যানারে ধর্মঘটও চলে বেশ কিছুদিন।
সেদিনই মধুমিতা হলের সামনে পুলিশি বাধার মুখে শাকিব ইনউইন এন্টারপ্রাইজসহ ভারতীয় সিনেমা আমদানিকারকদের ‘রাজাকার’ আখ্যা দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে হিন্দি সিনেমা আমদানির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস এসেছে জানিয়ে আন্দোলনের ইতি টানেন তারা।