দক্ষিণ ভারত বিশেষ করে তামিল সিনেমার দর্শকদের কাছে রজনিকান্তের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। ২০১৪ সালে নির্বাচনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যখন সাক্ষাৎ করেন রজনিকান্ত, তখন থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে। রজনি নিজে বরাবরই চুপ থেকেছেন এসব ব্যাপারে এবং রাজনীতি থেকেও নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন এতদিন।
গত বছরের শেষদিকে রজনিকান্তের সিনেমা ‘লিঙ্গা’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এই বিতর্কের পালে লাগে হাওয়া। সিনেমাটির প্রযোজকের দাবী ‘লিঙ্গা’ মুক্তি পাওয়ার তিন দিন পরেই এটি বক্স-অফিসে ভালো করছে না বলে প্রচার শুরু করেন পরিবেশক সিঙ্গারাভেলান। প্রযোজক রকলাইন ভেঙ্কাটেশের দাবি, এসব ঘটনায় গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছেন রজনিকান্ত। তিনি বলেন, এসব করাই হচ্ছে রজনিকান্তকে রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে রাখার জন্য।
দ্য ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভেঙ্কাটেশ বলেন, “আমি মনে করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব করা হচ্ছে এই মহাতারকার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য। এসব করা হচ্ছে তাকে ভয় দেখানোর জন্য, রাজনীতি থেকে তাকে দূরে রাখার জন্য। তামিলনাড়ুতে রজনিকান্ত অনেক বড় নাম। আমি সন্দেহ করি, সিঙ্গারাভেলান, রজনি স্যারকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার এই ষড়যন্ত্রের অংশ।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী বছরেই তামিল নাড়ু নির্বাচন এবং রজনি স্যার কোনোভাবেই এবার সুযোগ হাতছাড়া করতে পারেন না।”
ভেঙ্কাটেশ আরও বলেন, তামিল নাড়ু নিয়ে রজনীকান্তের অনেক বড় স্বপ্ন রয়েছে এবং তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন।
“তার অবশ্যই রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিৎ। এখানে দল কোন বিষয় না। রজনি স্যারের উদ্দেশ্য জনগণের সেবা করা। তিনি পুরোপুরি স্বচ্ছ এবং তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার। তামিল নাড়ু নিয়ে তার বড় বড় স্বপ্ন রয়েছে। আমি তার লক্ষাধিক ভক্তের একজন। তার ভক্তদের ইচ্ছা, তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তাদের জন্য কিছু করুন।”