বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পরিচালক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৭টি পদের জন্য এ দুটি প্যানেল থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পরিচালক সমিতির ৩৩৬ জন ভোটার আগামী দুবছরের জন্য তাদের সমিতির নেতৃত্ব কে দেবেন তা নির্বাচন করবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির বর্তমান মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার জানান, তারা ডিজিটাল চলচ্চিত্রের বিকাশে সরকারি সহযোগিতা বাড়ানো এবং বিদেশি ছবি আমদানি বন্ধ করার বিষয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন।
গুলজার গ্লিটজকে বলেন, “চলচ্চিত্রের দুর্দিনে আমরা সবাই এখন একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা চলচ্চিত্রকে বাঁচানোর জন্য নানা পরিকল্পনার কথা বলছি।”
এদিকে ভিডিও পাইরেসির কারণেই চলচ্চিত্রে ‘দুর্দিন’ চলছে বলে মনে করেন সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী হায়াৎ। ঢাকাই সিনেমার এই সিনিয়র পরিচালক বলছেন, “বাংলা চলচ্চিত্রের ক্রান্তিলগ্নে এখন সবাইকে একাট্টা হতে হবে। আমাদের চলচ্চিত্রের পুনর্জাগরণ ঘটাতে হবে। আমাদের প্যানেল থেকে আমরা সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিচ্ছি ভিডিও পাইরেসিকে। সবার আগে এই সমস্যাটির সমাধান করতে হবে।”
“ডিজিটাল চলচ্চিত্র কারা নির্মাণ করছেন, কোথায় প্রদর্শিত হচ্ছে, প্রজেক্টরের অবস্থা কি - এসব নিয়ে কারও মাথা ব্যাথা নেই। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করব। ডিজিটাল চলচ্চিত্র নির্মাণের যোগ্যতা রয়েছে কি না পরিচালকের, ডিজিটাল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য হলগুলোর মানসম্মত প্রজেক্টর রয়েছে কি না, ডিজিটাল টিকিট, সিনেমা হল মালিকদের ট্যাক্স প্রদানের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করব।”
ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বাচ্চুর সঙ্গে সদস্য হিসেবে রয়েছেন নূর মোহাম্মদ মনি ও আ স ম শফিকুর রহমান।
নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য সৈয়দ হাসান ইমামকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।