শখের খলনায়ক অমিত

নব্বইয়ের দশকের নায়ক অমিত হাসানকে এখন খলচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। স্রেফ ‘শখের বশে’ শুরু করলেও এখন ভাবছেন, নিয়মিত খলনায়ক হওয়ার কথা।

বিনোদন প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2014, 11:28 AM
Updated : 13 Dec 2014, 11:28 AM

মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘মাই ডার্লিং’ সিনেমার সেটে কথা হয় অমিত হাসানের সঙ্গে। বললেন খলচরিত্রে তার অভিনয় দেখলে নাকি মনেই হবে না তিনি এক কালে নায়ক ছিলেন।

শাহীন সুমন পরিচালিক ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমাতে প্রথমবারের মতো খলচরিত্রে অভিনয় করা অমিত হাসান বলেন, “স্রেফ শখের বশেই আমি ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমাতে খলচরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তারপর বেশ কটি চলচ্চিত্রে খলচরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করল। সত্যি বলতে কি, আমি নায়ক চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে যত না চিন্তা করেছি তার চেয়েও ঢের করছি খলচরিত্র নিয়ে।”

পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অমিত হাসান দাবি করছেন, ‘গতানুগতিক’ ধাঁচের খলচরিত্রে তিনি অভিনয় করছেন না।

“আমি ধীরে ধীরে নিজেকে পরিবর্তন করছি। প্রতিটি সিনেমাতে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করছি। প্রচুর সিনেমার অফার আসছে। কিন্তু দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমি সব সিনেমাতে অভিনয় করছি না। যেসব গল্পে আমি দেখছি আমার অভিনয়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, কেবল সেসব সিনেমাতেই অভিনয় করছি।”

খলচরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত নায়কদের বিপরীতেই স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।

“বাংলাতে একটি কথা আছে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর। খলচরিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারটিও সেকরমই। ‘মাই ডার্লিং’ সিনেমাতে শাকিব অভিনয় করছে প্রধান নায়ক চরিত্রে। তার মতো অভিনেতার বিপরীতে খলচরিত্রে অভিনয় করা আমি সবসময়ই উপভোগ করি। একটি প্রতিযোগিতা হচ্ছে বলে মনে হয়। নায়কের মতোই খলচরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে তখন বেশি শ্রম দিতে হয়।”

এক সময় তার বিরুদ্ধে ‘অশালীন’ সিনেমায় অভিনয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সে প্রসঙ্গ তুলতেই তার পুরো দায় চাপালেন পরিচালক ও প্রযোজকদের কাঁধে।

“আমরা অভিনেতা। আমাদের কাজ অভিনয় করে যাওয়া। পরিচালক কিভাবে দৃশ্যধারণ করেছেন, তা তো আমরা জানি না। তিনি কিভাবে দর্শকদের দেখাবেন সেটা তার ব্যাপার। আর শুধু তো আমি একা নই, শাকিব-রুবেল-আমিন খান সবাই তো ময়ুরী, মুনমুনদের সঙ্গে অভিনয় করেছে একসময়। অশ্লীলতার দায় তো আমার একার নয়।”

নব্বইয়ের দশকে বিএফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন অমিত হাসান। তারপর ছটকু আহমেদের ‘চেতনা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। মনোয়ার হোসেন খোকন পরিচালিত ‘জ্যোতি’ সিনেমার মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসেন তিনি। তার আসল নাম খন্দকার সাঈফুর রহমান আজু।