সম্প্রতি রাজধানীর শ্রুতি রেকর্ডিং স্টুডিওতে গানটির রেকর্ডিং হয়। সেখানেই গ্লিটজের সঙ্গে কথা হয় দুই তারকার।
বাংলা গানের প্রবীণ এই শিল্পীর সঙ্গে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়ে কনা দারুণ ‘রোমাঞ্চিত’।
“সুবীর নন্দী আমাদের থেকে অনেক সিনিয়র হলেও তিনি আধুনিক মানসিকতার মানুষ। শিল্পী হিসেবে তিনি কতো বড় মাপের মানুষ তা বলাই বাহুল্য। তিনি এ সময়ের গান নিয়ে বেশ ওয়াকিবহাল। সংগীতের জন্য নিরবধি কাজ করে যাওয়া এই গুণী শিল্পীর সঙ্গে গাইতে পারা আমার পরম সৌভাগ্য।”
এ প্রজন্মের শিল্পী কণার সঙ্গে প্লেব্যাক প্রসঙ্গে সুবীর নন্দী বলেন, “আমরাও এক সময় কনার মতো অবস্থানে ছিলাম। আমরাও বড় বড় শিল্পীদের সঙ্গে গান গাইবার সুযোগ পেলে ব্যাপারটা খুব উপভোগ করতাম। কনা খুব ভালো গান করে। কনার মতো শিল্পীর সঙ্গে চলচ্চিত্রের গান গাইতে পেরে আমি আনন্দিত।”
হালের বাংলা চলচ্চিত্রে বেশকিছু ‘ভালো’ গান হচ্ছে বলে মনে করেন সুবীর নন্দী। তবে সেগুলো সঠিকভাবে প্রচার হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
আগের মতো সিনেমার গান কেন সাড়া জাগাতে পারছে না, গ্লিটজের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সিনেমায় কিছু গান হচ্ছে চাহিদা মেটানোর জন্য। হলে গিয়ে যখন গান শুনে তখন ভালো লাগে। কিন্তু পরে গানটির কথা দর্শক ভুলে যায়। মনে রাখার মতো গান খুবই কম হচ্ছে।”
“আমরা ভালো দিনের অপেক্ষায় আছি। শ্রোতাদেরও উচিত অ্যালবাম কিনে গানের সম্পর্কে মন্তব্য করা। শ্রোতারাই পারে বাংলা গানকে আবার জাগিয়ে তুলতে। শ্রোতাদের সাড়া পেলেই ভালো গান তৈরি হবে বলে আমি মনে করি।”
সংগীত পরিচালক অমিত বলেন, “রোমান্টিক সিনেমার রোমান্টিক গানটিতে এমন দুজনার কণ্ঠ দরকার ছিল, যাদের কণ্ঠ ভরা মেলোডি। সুবীর নন্দী আর কণা তেমনই দুজন শিল্পী। সুবীর নন্দী সম্পর্কে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রেম-বিরহের গানে তিনি আমাদের হৃদয় ছুঁয়েছেন। হালের প্লেব্যাক শিল্পীদের মধ্যে কণাই সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছেন। তাদের দুজনকে একত্রিত করাও আমার ভাগ্য।”