‘শাকিব ছাড়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আছে এখন?’

আত্মপ্রকাশ করছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট নতুন সংগঠন ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ফোরাম।’ প্রায় তিন’শর মতো অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা, হলমালিক ভিড়েছেন এ সংগঠনে। হঠাৎ কেন নতুন সংগঠন, এর কাজই বা কী-এসব বিষয়ে গ্লিটজের মুখোমুখি হলেন সাধারণ সম্পাদক নির্মাতা কাজী হায়াৎ।

সাইমুম সাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2017, 02:45 PM
Updated : 25 Sept 2017, 02:45 PM

গ্লিটজ: চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সংখ্যা দেশে কম না। আরেকটি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা কেন অনুভব করলেন?

কাজী হায়াৎ: পৃথিবীতে সংগঠন কেন হয়? যাতে কাউকে একা লড়তে না হয়। মূলত সমমনা মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জোটবদ্ধ হতে হয়। ইদানীং আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বহিষ্কারের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। সেকারণেই নতুন সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। নানা সময়েই যাদের উপর আঘাত এসেছে, যারা বঞ্চিত হয়েছেন তারাই সংগঠনে যোগ দিচ্ছেন।

গ্লিটজ: কী ধরনের কাজ করবে সংগঠনটি?

কাজী হায়াৎ: কলকাতার ইন্ডিয়ান অ্যান্ড ইস্টার্ন মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর মতো কাজ করব আমরা। হলমালিকের সঙ্গে চুক্তি থেকে ছবির রিলিজ ডেটও নির্ধারণের কাজ করবে এই সংগঠন। অন্যদের মতো আমরা কাউকে বহিষ্কার করব না। কাউকে মারধর করব না। পাশাপাশি সমগোত্রীয় লোকের উপর যাতে কেউ চড়াও হতে না পারে, আঘাত করতে না পারে সেই জন্যই আলাদা ছাতার নিচে দাঁড়িয়েছি।

গ্লিটজ: কারা কারা যোগ দিচ্ছেন?

কাজী হায়াৎ: প্রায় তিন’শ জনের মতো সদস্য ইতিমধ্যে পেয়ে গেছি আমরা। শাকিব খান, ওমর সানি, মৌসুমীর মতো তারকারা থাকছে আমাদের সঙ্গে। পাশাপাশি হলমালিক, বুকিং এজেন্টরাও আছেন। যারা আসছেন বেশিরভাগই বেশ সক্রিয় শিল্পী। তারা নিয়মিত সিনেমা করছেন।

গ্লিটজ: এতে শাকিব খানের ভূমিকা কী?

কাজী হায়াৎ: শাকিবের মতো স্টারকে এই ইন্ডাস্ট্রি বঞ্চিত করেছে। শাকিবের সঙ্গে অনেক সহযোদ্ধা আছে। তারা শাকিবকে ছেড়ে চলে যাবে নাকি? শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করলেই শিল্পীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা কী করবে? তাদের তো আশ্রয় দরকার। শাকিব ছাড়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আছে এখন? তাহলে তাকে বহিষ্কার করে দিলে আর ফিল্ম থাকল? শাকিব রাগ করে ফিল্ম ছাড়লে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ক্লোজ হয়ে যাবে। হলমালিকরা হল বন্ধ করে বাড়ি চলে যাবে। শাকিবের সঙ্গে অনেক বড় বড় আর্টিস্টরা কাজ করে। তার পুরো গ্রুপ যোগ দিয়েছে সংগঠনে। তারা নিজেরাই প্রয়োজনবোধ করেছে একাত্ম হওয়ার।

গ্লিটজ: আপনি তো সাধারণ সম্পাদক। কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

কাজী হায়াৎ: এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। তবে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়েছে। তখন আমি ইউরোপে ছিলাম। আসার পর ওরা আমাকে ফোনে জানিয়েছে। আমি কোনো আপত্তি করিনি। বললাম, ঠিক আছে এটা যদি কোনো ভালো সংগঠন হয় তাহলে কাজ করতে সমস্যা নেই। কারো সঙ্গে বিরোধ নয়, আমি সবসময় ঐক্যের পথে আছি। আমি চাই না চলচ্চিত্রে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকুক। এটা বলতে পারি পদে থাকাকালীন সমিতিগুলোর সঙ্গে বিরোধীতা করব না।