যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কণ্ঠযোদ্ধা মঞ্জুর আহমেদ লস অ্যাঞ্জলসের সন্নিকট শহর গ্লেনডেন সিটির একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় ভোর ৩টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বোন রীনা আহমেদ। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র এবং এক কন্যা রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি।
রীনা আহমেদ জানান, “মৃত্যুর আগে ইউরিন ব্লাডারে তার একটি টিউমারও ধরা পড়েছিল।”
মাদারীপুর জেলার চিকিৎসক আলাউদ্দিন আহমদের ছেলে মঞ্জুর আহমেদ দীর্ঘদিন যাবত লসঅ্যাঞ্জেলসে সপরিবারে বাস করছিলেন। মঞ্জুরের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা সৈয়দ মহিউদ্দিন হায়দার খোকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মঞ্জুর আহমেদের অনেক গান বাঙালিদের উজ্জীবিত করেছে।”
নিউ ইয়র্কে বসবাসরত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অপর দুই কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, রথীন্দ্রনাথ রায় ও যুক্তরাষ্ট্র সফররত সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি রেজাউল বারী গভীর শোক জানিয়েছেন তার মৃত্যুতে। আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে কন্ঠযোদ্ধা মঞ্জুরের মরদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।