এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার জন্য ব্যবসার চেয়ে আমার দর্শকদের ভালবাসা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় আমি যথেষ্ঠ পয়সা কামিয়েছি। এখন আমার কাছে সঠিক চিত্রনাট্য, ভাল চরিত্রের ভাল গল্প, ভাল পরিচালক এবং স্টুডিও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
‘জলি এলএলবি টু’তে কাজ করে বেশ তৃপ্তি পেয়েছেন এমন কথাই শোনালেন অক্ষয়।
“তাদের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ ছিল। আমি তাদের সঙ্গে আরও কাজ করতে চাই।”
‘জলি এলএলবি টু’ ভারতীয় বক্স অফিসে অক্ষয় অভিনীত টানা চতুর্থ শতকোটি রূপি আয় করা সিনেমা। এর আগে ২০১৬তে ‘এয়ারলিফ্ট’, ‘রুস্তম’ এবং ‘হাউজফুল থ্রি’-র মতো ব্যবসাসফল সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন, যার মধ্যে প্রথম দুটি সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
‘জলি এলএলবি টু’তে একজন আইনজীবির ভূমিকায় অভিনয় করলেও ব্যক্তিজীবনে কখনও নাকি এধরণের অভিজ্ঞতা ছিলনা ৪৯ বছর বয়সী এই অভিনেতার।
তিনি বলেন, “ব্যক্তিজীবনে আমি কখনও কোনো আইনি ঝামেলায় পড়িনি। তাই উকিলদের সঙ্গে আমার কথনও কাজও করতে হয়নি। কিন্তু নির্মাতা সুভাষ কাপুর আমাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন, কারণ পরিচালনায় আসার আগে তিনি রাজনীতি নিয়ে কাজ করা একজন সাংবাদিক ছিলেন।”
অর্থ ছেড়ে যে ভালো গল্পের দিকে অক্ষয় সত্যি সত্যিই জোর দিচ্ছেন, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে তার পরবর্তী দুই সিনেমা ‘টয়লেট : এক প্রেম কথা’ এবং ‘প্যাডম্যান’-এর বক্তব্য শুনলেই। প্রথম সিনেমাটিতে প্রচার করা হবে গণশৌচাগার বিষয়ক সচেতনতা, দ্বিতীয়টিতে তিনি অভিনয় করবেন গ্রামের নারীদের জন্য সস্তায় স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির এক কারিগরের ভূমিকায়।