জহির রায়হান কে জাতীয় চলচ্চিত্রকার ঘোষণার দাবি

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম রূপকার জহির রায়হান। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এফডিসিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে স্বীকৃতি জানালেন আরেক নির্মাতা আমজাদ হোসেন।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2017, 01:25 PM
Updated : 21 Feb 2017, 02:33 PM

ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে জহির রায়হান নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন চলচ্চিত্র ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানি সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় তা আর হয়নি। তবে থেমে থাকার পাত্র ছিলেন না ‘স্টপ জেনোসাইড’এর নির্মাতা। ১৯৭০ সালে নির্মাণ করেন ‘জীবন থেকে নেয়া’। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন জহির। মুক্তিযুদ্ধে এই চলচ্চিত্রটি ছিল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের বড় প্রেরণা। এ চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেন একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত গানটি পরে একুশের গান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই গানটিকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করার পেছনে ‘জীবন থেকে নেয়া’ গুরুত্ব ভূমিকা রেখেছে।

সে স্মৃতির সম্মানেই এফডিসিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হল ‘জীবন থেকে নেয়া’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা তিন জীবিত শিল্পী নায়করাজ রাজ্জাক, চিত্রনায়িকা সুচন্দা ও ছবিটির চিত্রনাট্য রচয়িতা আমজাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে তাদের সম্মাননা জানানো হয়। সম্মাননা গ্রহণের পর নিজের বক্তব্যে ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’র নির্মাতা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের জাতীয় কবি আছেন, জাতীয় অধ্যাপক হতে পারে, জাতীয় ফুল হতে পারে, জাতীয় চলচ্চিত্রকার হিসেবে জহির রায়হানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।’ অনুষ্ঠানে আবেগঘণ স্মৃতিচারণায় অংশ নেন নায়করাজ রাজ্জাক, সুচন্দা, সৈয়দ হাসান ইমাম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান চলচ্চিত্র নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি পরিবেশন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বের মাঝে আবৃত্তি করেন শিমুল মোস্তফা ও চিত্রনায়ক অমিত হাসান। পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার।