‘চকলেটের লোভে রোজা ভেঙে ফেলেছিলাম’

শৈশবে রোজা রাখা নিয়ে অনেক স্মৃতি থাকলেও, একটি ঘটনা মনে পড়লে এখনও নিজের অজান্তে হেসে ওঠেন মৌনিতা খান ঈশানা। একবার নাকি চকলেটের লোভে রোজা ভেঙে ফেলেছিলেন এই অভিনেত্রী।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2016, 12:04 PM
Updated : 29 June 2016, 12:04 PM

সারাদিন রোজা রাখার পরেও ইফতারের আগে একদিন রোজা ভেঙে ফেলেছিলেন ঈশানা। ঘটনাটি মনে করে ঈশানা বলেন, “তখন আমার বয়স খুব বেশি হলে বারো বছর হবে। তখন থেকেই আমি নিয়মিত রোজা রাখার চেষ্টা করছিলাম। একদিন ভোররাতে সেহেরি খেয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে আর নাস্তা করিনি। আমাকে মা অনেকবার নাস্তা খাওয়ার অনুরোধ করলেও আমি নাস্তা কিংবা দুপুরের খাবার সেইদিন আর খাইনি। কারণ আমি কোনোভাবেই সেই দিনের রোজা ভাঙ্গবো না বলে প্রতিজ্ঞা করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “কিন্তু সেদিন আমি রোজা রাখলেও আমার ছোট এক কাজিন রোজা রাখেনি। হঠাৎ করেই ঐদিন বিকেলে আমাদের বাসায় আমার খালা বেড়াতে চলে আসেন। তিনি আমাদের সবাইকে খুব আদর করতেন। তিনি আমাদের জন্য অনেকগুলো চকলেট নিয়ে এসেছিলেন।”

“আমাদের হাতে চকলেট দেওয়ার পরে আমার সেই কাজিন আমাকে দেখিয়ে খুব মজা করে চকলেটগুলো খাচ্ছিলো। ওর খাওয়া দেখে আমি এতো লোভে পড়ে গেলাম যে ইফতারের দেড় ঘন্টা আগেই রোজা ভেঙ্গে ফেললাম। শুধুমাত্র চকলেট খাওয়ার লোভে রোজা ভেঙ্গে ফেললাম!”

এর পর থেকে নাকি আর কখনও রোজা ভাঙেননি ঈশানা।

তিনি বলেন, “ তখন আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়তাস। ওই সময় থেকেই রমজান মাসে সবগুলো রোজা রাখা শুরু করি। তখন থেকে গতকালের রোজা পযর্ন্ত চকলেটের লোভে আর রোজা ভেঙ্গে ফেলা হয়নি।”

ছোটবেলায় পরিবারের সঙ্গে ইফতারের সময়টাকে অনেক উপভোগ করতেন ঈশানা। এখন কাজের ব্যস্ততার কারনে পরিবারকে ছাড়াই বেশিরভাগ সময়ে ইফতার করতে হয় বলে মাঝে মধ্যে কিছুটা মন খারাপ হয়ে যায় তার।

তিনি বলেন, “সত্যি বলতে, এই রমজানে প্রতিদিনই শুটিং স্পটে ইউনিটের লোকজনদের সঙ্গে ইফতার করা হচ্ছে। সেইদিক থেকে পরিবারকে তো মিস করাই হয়।”

ঢাকার বাইরে থাকলে অনেকসময় ইফতার ঠিকমতো করাও হয়না ঈশানার। একবার ইফারের সময়টাতে রাস্তায় থাকায় পুরো ইউনিটের সঙ্গে কেবল পানি খেয়েই রোজা ভেঙেছিলেন তিনি।

অবশ্য সেহেরিটা এখনও পরিবারের সঙ্গেই করেন ঈশানা। মাঝেমধ্যে এই সময়টুকু বন্ধুদেরও দেওয়া হয় তার।

“যেহেতু সেহেরির সময় আমি কোনো শুটিং করি না, সেহেতু পরিবারের সাথেই সময়টা কাটানো হয়। তবে অনেক সময় আমি বন্ধুদের কিংবা কাজিনদের সঙ্গে নিয়ে মাওয়া ফেরিঘাটে চলে যাই। সেখানে সেহেরির সময়ে খাওয়া দাওয়া করি।”

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মডেল হিসেবে পথচলা শুরু হয় ঈশানার। পরবর্তীতে টিভি নাটকে তিনি হয়ে ওঠেন নিয়মিত মুখ।

ঈশানার অভিনীত প্রথম নাটক ‘ফিরিয়ে দিলাম পৃথিবী’। তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে ‘সখী ভালোবাসা কারে কয়’, ‘শূন্য থেকে শুরু’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেশ কিছু টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি।

এইমুহুর্তে তিনি ব্যস্ত ‘নোয়াশাল’, ‘সম্রাট’, ‘ইয়েস ম্যাডাম নো স্যার’, ‘দাগ’, ‘ফেরারী’সহ বেশ কিছু ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে। ঈদেও তাকে দেখা যাবে বেশ কিছু নাটকে।