শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তেন সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে সাংবাদিকরা বেশ কয়েকটি বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করেন।
বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের খাতওয়ারি বরাদ্দের বিবরণ কেন দেওয়া হয়নি- তা জানতে চান সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মৃদু হেসে ‘সব প্রশ্নের উত্তর সব সময় দেওয়া হয় না’ বলেই সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন অর্থমন্ত্রী।
তবে গত বছর ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে আগামী প্রতিরক্ষা বাজেটের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।
প্রতিরক্ষা বাজেটের খাতওয়ারি বিবরণ না থাকায় তা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের প্রেক্ষাপটে এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, “আমাদের দেশে একটি ট্রাডিশন গড়ে উঠেছে। ক্ষমতার অবৈধ দখল ও পরিবর্তনের কারণে এটি গড়ে উঠেছে, যেটা মোটেই সুস্থ ট্রাডিশন নয়।
“আমি গত ৫ বছর ধরে এই ট্রাডিশন সংস্কারের চেষ্টা করছি। আশা করছি যে বর্তমান মেয়াদেই ট্রাডিশনের সংস্কার করতে পারব। আশা করি, আগামীতে প্রতিরক্ষা বাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পাবেন।”
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে প্রতিরক্ষা খাতে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হিসাবে ১৮ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ১৮৩৭৭ কোটি টাকা এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের জন্য ২১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা।
টাকার অঙ্কে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়লেও শতাংশের হার হিসেবে বরাদ্দ কমেছে।
শুধু প্রতিরক্ষা খাতের বাজেটের বিবরণ নয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ১ জুলাই থেকে নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাবেন কিনা সে বিষয়ে বাজেটে স্পষ্ট উল্লেখ না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তাও এড়িয়ে যান অর্থমন্ত্রী।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামোতে এক জুলাই থেকে মূল বেতন পাবেন এবং বেতনের অন্যান্য সুবিধাদি বাস্তবায়ন করা হবে ধাপে ধাপে- এ কথা বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন।
ধাপে ধাপে কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তাও জানতে চান সংবাদিকরা।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংবাদ সম্মেলন শেষে “সব প্রশ্নের উত্তর সব সময় দেওয়া হয় না” বলে একসঙ্গে সব প্রশ্নের উত্তর দেন অর্থমন্ত্রী।