বাংলাদেশ এখন ‘সুখী দেশ’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Published : 16 May 2015, 08:05 PM
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুহিত বলেন, “আমরা এখন দস্তুরমতো সুখী দেশ। আমাদের অভাব আছে। কিন্তু ৪৪ বছরে আমরা দারিদ্র্যকে এমনভাবে চেপে ধরেছি যে, ২০১৮ সালের পর বাংলাদেশে বস্তুতপক্ষে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।”
‘সাধারণত কোনো দেশে দারিদ্র্যের হার ১৪ শতাংশের নীচে নেমে এলে সে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ বলা হয়ে থাকে’ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা সে পথেই এগুচ্ছি। আমাদের এখানে এখন দারিদ্র্যের হার ২৪ শতাংশ; ২০১৯ সালে তা ১১ শতাংশে নেমে আসবে।
“তখন আর আমরা দরিদ্র থাকবো না। সমাজে কিছু লোক/গোষ্ঠী সব সময়ই দরিদ্র থাকবে। সব দেশেই এটা থাকবে। বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, বঞ্চিত গোষ্ঠী- সব দেশে চিরদিনই দরিদ্র থাকবে। এদেরকে দরিদ্র বলা যাবে না।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া একটা অদ্ভূত কাজ করেছে। তারা তাদের দারিদ্র্যের হার ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
মুহিত বলেন, জাতিসংঘ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ প্রণিধানযোগ্য উন্নয়ন করেছে।
‘আমরা ভালো অবস্থায় আছি’ দাবি করে মুহিত বলেন, “বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা ৬ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ১৩১৪ ডলার।
“সে কারণেই বলছি, আমরা এখন দস্তুরমতো সুখী দেশ। পৃথিবীর সুখী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ বাংলাদেশ।”
‘দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রি-মুখী সহযোগিতা’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ১৭ ও ১৮ মে ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুদিনব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন কমিটির সভাপতি ড. এ কে আবদুল মোমেন বক্তব্য রাখেন।
ড. মোমেন অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই।