শুক্রবার এক প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, “বেতন-ভাতা প্রতি পাঁচ বছরে আমরা বাড়াই। আমরা এবারে একটি স্টাডি করাই যে বেতন বাড়ালে ইনফ্লেশনে কী ধরনের প্রভাব পড়ে। ইটস নমিনাল।”
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানোয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “ওইখানে আপনাদের ভয় করার কোনো কারণ নেই। স্টাডি করলে আপনারা এটা দেখতে পাবেন। বিআইডিএসও একটা করেছে।”
আগামী ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হতে চলেছে, যাতে প্রায় ১৩ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ৮৭ থেকে ১০১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে।
মেট্টোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ‘বাজেট ২০১৫-১৬; আমাদের প্রত্যাশা‘ শীর্ষক আলোচনায় কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি নিয়ে তিনি বলেন, “এখানে বলা হয়েছে, অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ করা দরকার। আমাদের শিক্ষা বিভাগ বলেন, তাদের যে বরাদ্দ দেই সেটাকে তিনগুণ করা দরকার। কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন নিয়ে বলা হয়েছে, তাদের আরো বেশি পাওয়া দরকার। সবগুলোই সঠিক।
“কিন্তু তার সঙ্গেতো আসল বিষয় সম্পর্কিত, আপনি কত আদায় করছেন? কী রাজস্ব আপনি আদায় করতে সক্ষম হচ্ছেন? সেখানে একটি অসুবিধা আছে। খুব বড় ধরনের আদায় করতে গেলে আপনারা বলবেন উচ্চাভিলাষী। উচ্চাভিলাষী বলে বলে যাতে সহযোগিতা না পাওয়া যায় সেটা পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন।”
সবার দাবি পূরণ করতে হলে বাজেটের আকার এই মুহূর্তেই অন্তত ছয় থেকে সাত লাখ কোটি টাকা হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সেটাতো সম্ভব না। আমরা মাত্র ৩ লাখ কোটিতে পৌঁছালাম। সেখানে আমাদের অর্জন মন্দ না।”
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের গত ছয় বছরে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
“আমরা সপ্তম বছরে পদার্পণ করছি। আমরা ছয় বছর একত্রে আছি। এই ছয় বছরে আমাদের রাজস্ব আদায়ের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাসে ইউনিক,” বলেন তিনি।
আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় আরো বাড়ার আশাপ্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বোর্ড অব রেভিনিউতে আমরা গত ছয় বছর ধরে ব্যাপকভাবে কর্মী সংখ্যা বাড়িয়েছি। তার সুযোগটা এবারে নেওয়ার ইচ্ছা। তাদের টার্গেট দেওয়া হচ্ছে, ১৭৬ হাজার কোটি টাকা। তারা এই বছরে একশ ৩০ থেকে ৩৪ হাজার কোটি টাকার মতো আদায় করেছে।”
তবে এই মুহূর্তে খুব বেশি রাজস্ব আদায় বাড়াতে গেলে সমস্যা আছে বলে মনে করেন তিনি।