মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানান, আগামী ১ মে থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত এই দরে ১০ লাখ টন চাল এবং এক লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
তিনি বলেন, “এবার প্রতি কেজি বোরো ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ২০ টাকা, চালে খরচ পড়েছে সাড়ে ২৭ টাকা।”
সরকার গত বছর বোরো মৌসুমে ৩১ টাকা কেজি দরে বোরো চাল এবং ২০ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহ করেছিল।
এবার এক কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টন।
“কৃষকরা যাতে নায্যমূল্য পান এবং কোনো মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার না হন, সেজন্য এবার আগেই সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে,” বলেন মন্ত্রী।
বর্তমানে দেশে প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য মজুদ রয়েছে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই পরিমাণ প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন বেশি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।