এছাড়া চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ‘ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার’ স্থাপনে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরেও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চীনের অর্থায়নে বিএসসির জন্য এই ছয়টি জাহাজ কেনা হবে ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে’।
বিএসসির এমডি কমডোর হাবিবুর রহমান ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানের বহরে বর্তমানে আটটি জাহাজ থাকলেও তার মধ্যে চালু আছে পাঁচটি। বাকি জাহাজগুলোর মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
চালু পাঁচটি জাহাজের মধ্যে জাপানে তৈরি এমভি বাংলার কাকলী বিএসসির বহরে যুক্ত হয় ১৯৭৯ সালে। আর সর্বশেষ ১৯৯১ সালে আসে চীনের তৈরি এমভি বাংলার শিখা।
১৯৭২ সালে শিপিং করপোরেশন যাত্রা শুরুর পর পর্যায়ক্রমে ৩৮টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়। আশির দশকেও বিএসসির বহরে ২৬টি জাহাজ ছিল। কিন্তু অধিকাংশ জাহাজ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় সেগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।
বর্তমানে বহরে থাকা জাহাজগুলোর গড় বয়সও ৩০ বছরের বেশি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের কারণে এসব জাহাজ বিশ্বের অনেক বন্দরেই ভিড়তে পারে না।
এই প্রেক্ষাপটে গতবছর শিপিং করপোরেশন এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন ছয়টি জাহাজ কেনার উদ্যোগের কথা জানায়।
প্রতিটি ৪০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য বহনে সক্ষম এসব জাহাজ কিনতে মোট খরচ হবে এক হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা, যা চীন সরকার সহায়তা হিসাবে দেবে।
এছাড়া মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ‘ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার’ স্থাপনে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কনসোর্টিয়াম ‘জেডটিই হোল্ডিংস কোম্পানি লিমিটেড’ ও ‘জেডটিই করপোরেশন’-এর সঙ্গে চূড়ান্ত বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে যুগ্ম-সচিব জানান।