মঙ্গলবার নওগাঁর সরকারদলীয় সাংসদ ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের এই উত্তর জাতীয় সংসদকে জানানো হয়। প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন।
গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মোট ৭৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি সই হয়েছে, যাতে ১১ হাজার ৫০৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
সাড়ে ১৫ কোটি মানুষের বাংলাদেশে চলতি শীত মওসুমে বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা প্রায় সোয়া ছয় হাজার মেগাওয়াট। এর প্রায় পুরোটাই দেশে উৎপাদিত এবং ভারত থেকে আনা ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে মেটানো হচ্ছে।
এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার বিদ্যুতের সব অ্যানালগ ও ডিজিটাল মিটার প্রি-পেইড মিটারে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সারা দেশে ৭০ লাখ প্রি-পেইড মিটার বসানো হবে।
দিদারুল আলমের আরেক প্রশ্নে তিনি জানান, বর্তমানে দেশে গ্যাস ক্ষেত্রের সংখ্যা ২৬টি, যার মধ্যে ১৯টি উৎপাদনে আছে। মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাঙ্গুর উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। কুতুবদিয়ায় মজুদের পরিমাণ কম হওয়ায় বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হয়নি। রূপগঞ্জ ও বেগমগঞ্জের দুটি নতুন গ্যাসক্ষেত্রে শিগগিরই উৎপাদন শুরু হবে।
হাজি সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে এ মুহূর্তে কমছে না। এ খাতের আগের লোকসান কাটিয়ে ওঠার পর সরকার দাম কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।