দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু’ উৎক্ষেপণ প্রকল্পের জন্য ২১৮.৯৬ কোটি টাকায় রাশিয়ার কাছ থেকে অরবিটাল স্লট ইজারা নেওয়ার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।
Published : 31 Dec 2014, 03:49 PM
বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য এই অরবিটাল স্লট ইজারা নেওয়া হবে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব স্পেস কমিউনিকেশনের কাছ থেকে।
“এজন্য ব্যয় হবে ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২১৮.৯৬ কোটি টাকা)। এর সাথে ভ্যাট ও ট্যাক্সও যোগ হবে। সরকারই এই অর্থায়ন করবে।”
গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) ‘বঙ্গবন্ধু’ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনার জন্য প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে এক হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে যোগানো হবে।
এছাড়া প্রকল্প সাহায্য থেকে আসবে এক হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এই ‘প্রকল্প সাহায্যের’ ব্যবস্থা করা হবে ‘বিডার্স ফাইন্যান্সিং’ এর মাধ্যমে ।
বিটিআরসির এ প্রকল্পের আওতায় পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হবে বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ, যাতে টেলিকমিউনিকেশন ও ব্রডকাস্টিং সেবা দেয়ার জন্য ৪০টি ‘ট্রান্সপন্ডার’ থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’ ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে উপগ্রহের নকশা তৈরির কাজ শুরু করেছে।
ভূমি থেকে উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ নির্মাণ করা হবে। গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নিজস্ব জমিতে এ দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’হবে।
২০১৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার।
ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘কনসালটেন্সি সার্ভিস ফর ডিটেইলড টেকনো ইকোনমিক ফিজিবিলিটি স্টাডি অব রামনাবাদ চ্যালেন’ মূল্যায়ন কাজের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়।
এইচ আর ওয়ালিংফোর্ড ইউকে নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় এ কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এছাড়া আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার একটি প্রস্তাবও সভায় অনুমোদন পেয়েছে।