বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শওকত আলী বলেন, “বেসিক ব্যাংকের অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনেক আগেই জানিয়েছে। তারপরও কেন তারা পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কমিটি তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে।
“বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে এমন ১০ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এটা হতে পারে না। এ বিষয়ে তদন্ত যাতে দ্রুত করা হয় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেজন্য দুদকে চিঠি পাঠানো হবে।”
বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা, গুলশান ও শান্তিনগর শাখা থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
অনিয়মের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপে গত ২৫ মে অপসারিত হয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম। এর আগে ব্যাংকের আট কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।
ঋণ জালিয়াতির পাশাপাশি বেসিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারে সহযোগিতারও অভিযোগও রয়েছে। এসব অনিয়ম অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সংসদীয় কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির সঙ্গে তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সংশ্লিষ্টতা নিরূপনের জন্য দুদক কাজ করছে। এছাড়া পরবর্তি অডিট কার্যক্রমের কর্মপরিধিতে দুর্নীতির সঙ্গে তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সংশ্লিষ্টতা নিরূপনের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম এবং আত্মসাৎ করা অর্থ আদায়ের জন্য একটি ‘অ্যাকশন প্লান’ তৈরি করা হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বেসিক ব্যাংকের শীর্ষ ২০ জন খেলাপির কাছ থেকে ঋণ আদায়ের জন্য শাখাগুলোকে বিশেষ লক্ষ্যমাত্র দেওয়া হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে যোগ্য, পেশাদার, স্বচ্ছ লোক নিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, মো. নূরুল ইসলাম সুজন, মো. আব্দুল ওদুদ, আব্দুর রউফ অংশ নেন।