‘টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার জরুরি’

টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য কৃষিসহ অন্যান্য খাতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন একটি সেমিনারের বক্তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2014, 04:12 PM
Updated : 27 Oct 2014, 04:43 PM

সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ‘টেকনোলজি ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারের সভাপতি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার ফলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

“টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়াতে হবে। তবে এসব প্রযুক্তি অবশ্যই দেশের প্রকৃতি ও মাটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।”

দেশের কৃষি ও শিল্প অনেক এগিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পঞ্চাশ বছর আগে এদেশে আন্তর্জাতিক শিল্পপতি বলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না।  এখন এর সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে।

দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রধান প্রতিন্ধকতাগুলো দূর করতে কয়েকটি সুপারিশ করেন পিকেএসএফের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ইব্রাহিম খালেদ।

এর মধ্যে রয়েছে- দেশি কাঁচামাল ব্যবহারে আগ্রহী শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উত্তীর্ণদের শিল্পঋণ দেওয়া। ছোট শিল্প কারখানাগুলোকে লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে বড় কোম্পানির সহযোগী হিসেবে কাজে লাগানো।

রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সাতদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা ও সেমিনারের আয়োজন করেছে পিকেএসএফ।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপক তানভীর সুলতানা ও হ্যাবিট্যাট অ্যান্ড ইকোনমি লিফটিং প্রোগ্রাম (হেলপ) এর নির্বাহী পরিচালক মীর আল আমিন।

সেমিনারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী ও বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লা আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবারও একই স্থানে বৈদেশিক বাণিজ্য ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সেমিনার হওয়ার কথা রয়েছে।

সেমিনারে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবীণ কৃষিবিদ ও প্রযুক্তিবিদদের অংশ নিচ্ছেন বলে আয়োজকরা জানান।

সেমিনারের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রেই চলছে সাতদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা-২০১৪।

পিকেএসএফ এর সহযোগী সংস্থাগুলোর ঋণ ও কারিগরি সহায়তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা কারখানার পণ্য দিয়ে মেলা সাজানো হয়।

আয়োজকরা জানান, মোট ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ১২৫টি স্টল মেলায় স্থান পেয়েছে। দেশের বাইরে থেকেও কিছু প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে।