বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ ও আর্থিক সেবাভুক্তি বিভাগ এই নির্দেশ জারি করেছে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানিয়েছিল।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল এবং মৎস্য খাতে প্রকৃত চাহিদা ও বাস্তবতার নিরিখে নতুন ঋণ বিতরণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রবিশস্য ও আমদানি বিকল্প ফসলে (ডাল, তৈলবীজ, মসলা, ভুট্টা) রেয়াতি হার সুদে ঋণ দেওয়া জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সার্কুলারে বলা হয়েছে, “ক্ষতিগ্রস্তকৃষকরা যাতে প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী যথাসময়ে নতুন ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে এবং ঋণ পেতে কোনোরূপ হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়টি ব্যাংকগুলো তদারকি করবে।”
ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে কী করেছে, তা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছে।
যে ২১টি জেলার কৃষকদের এই ঋণ সুবিধা দিতে বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও ভোলা।
বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় দুই মাস বন্ধ রাখতেও এনজিওগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।