এতে প্রকল্পসহ বিভিন্ন পুকুরের মাছচাষিদের প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস্য বিভাগ জানায়।
ভেসে যাওয়া এসব মাছ ধরতে মানুষ বন্যার খোলা পানিতে মাছ ধরায় মেতে উঠেছে।
সরেজমিনে সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে, মালিকানার পুকুর এবং ইজারা নেওয়া পুকুর, জলা ও দিঘীর বিপুল পরিমাণ মাছ বন্যায় ভেসে গেছে।
স্থানীয়রা বন্যার পানিতে মাছ শিকার করছে ছিপজাল, খড়া জাল, ফাসি জাল দিয়ে।
ধুনটের ফকিরপাড়া গ্রামের মো. বিপ্লব জানান, সে বিশাল দিঘীতে তিনি মাছ ছেড়েছিলেন। তার প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার মাছ বন্যার পানিতে চলে গেছে।
একই এলাকার রফিকুল ইসলাম বুলু জানান, লিজ নিয়ে একটি জলায় মাছ ছাড়েন তিনি। তারও প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মাছ ভেসে গেছে।
বগুড়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ক্ষিরোদ কুমার রায় জানান, বন্যায় সারিয়াকান্দিতে ২২৩টি ও ধুনট উপজেলার ৮৭৫টি জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা।
“ঢাকা থেকে তথ্য চাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। পানি নেমে যাওয়ার পর সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা যাবে,” বলেন তিনি।