এজন্য ‘প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার’ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গত পাঁচ বছরের অর্জন এবং আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনার অংশবিশেষ তুলে ধরেন গভর্নর।
তিনি বলেন, “ব্যাংক খাতের স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমাদের তত্ত্বাবধানকে আরও জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাই।”
বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত ‘নেতৃত্ব বিকাশের’ পরিবেশ তৈরি এবং নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে ‘সঠিক নির্দেশনার মাধ্যমে’ মানব সম্পদকে আরও এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান আতিউর রহমান।
“আগামীতে লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট করতে চাই। এজন্য চট্টগ্রামে লিডারশিপ এক্সিলেন্স সেন্টার তৈরি করা হবে।”
এতে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী, চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের কর্মশালার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে ধারণা দেয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গত পাঁচ বছরের খতিয়ান ও আগামী পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন নির্বাহী পরিচালক মো. আহসানউল্লাহ।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লাহ মালিক কাজেমী, ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান, এস কে সুর চৌধুরী, নাজনীন সুলতানা, পরামর্শক গ্লেন টাস্কি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আবু হেনা বলেন, “আমরা মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে অনেক এগিয়েছি। আশা করছি আমাগী পাঁচ বছরে আরও এগোব।”
এস কে সুর চৌধুরী বলেন, “ব্যাংক খাতের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি আমরা। একটি সমন্বিত রিক্রুটমেন্ট ব্যবস্থা করা হবে।”
নাজনীন সুলতানা বলেন, “শুদ্ধাচারের অভাবে অনেক ঘটনা ঘটে যায়। আমরা সেই শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে লিড দিচ্ছি। এজন্য প্রযুক্তির ব্যবহার, অটোমেশন করা হচ্ছে।”
আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে আহসানউল্লাহ বলেন, “আমরা ভারসাম্য ও সমন্বিত মুদ্রানীতি প্রণয়নের চেষ্টা করব। বিদেশি মুদ্রার লেনদেন আরও সহজ করা হবে। ব্যাংকগুলোকে আরও মানবিক করা হবে।”
২০১৫-১৯ সাল পর্যন্ত সময়ের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাভারের ব্র্যাক সিডিএম সেন্টারে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ওই সম্মেলনে অংশ নেবেন।