বহু প্রতীক্ষিত এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তিতে ‘অনুস্বাক্ষর’ করেছে পেট্রোবাংলা, যে টার্মিনাল থেকে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে আমদানি করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Published : 26 Jun 2014, 07:59 PM
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পেট্রোসেন্টারে সিঙ্গাপুরভিত্তিক অ্যাস্ট্রা অয়েল অ্যান্ড এক্সিলারেট কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করে পেট্রোবাংলা। এলএনজি টার্মিনালটি অ্যাস্ট্রা অয়েল বিওওটি ভিত্তিতে নির্মাণ করবে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জ্বালানি সঙ্কট মোকাবেলার জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল তৈরির উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ওই মেয়াদের পাঁচ বছরেও তা করতে পারেনি।
গত জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এসে অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অনুস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “এলএনজি টার্মিনাল বহু প্রতীক্ষিত একটা বিষয় ছিল। সেটাই আমরা বাস্তবায়ন করছি। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্যই এলএনজি টার্মিনাল করা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, “জ্বালানি খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন। নিজেদের সম্পদ ব্যবহার করা, বিদেশ থেকে আমদানি করা এবং জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া।”
অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেইন মনসুর জানান, অনুস্বাক্ষরটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সায় পেলে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের পর অ্যাস্ট্রা অয়েলের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অ্যাস্ট্রা অয়েলের সঙ্গে ১৫ বছরের জন্য টার্মিনাল ব্যবহারের চুক্তি করবে পেট্রোবাংলা। ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি ধারণ ক্ষমতার এ টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
অ্যাস্ট্রা অয়েলকে টার্মিনাল নির্মাণ ও অন্যান্য খরচ হিসেবে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের জন্য শূন্য দশমিক ৪৭ ডলার করে দিতে হবে পেট্রোবাংলাকে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, টার্মিনালটি নির্মাণ করার জন্য বিদেশি এ কোম্পানি প্রায় ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে, যার ফলে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।