অন্যান্য বছরের তুলনায় বিদায়ী বছরে দেশে রেমিটেন্স কমেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।
Published : 01 Jan 2014, 07:46 PM
২০১২ সালে প্রবাসীরা এক হাজার ৪১৭ কোটি ৬৫ লাখ (১৪ দশমিক ১৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন।
আর সদ্য সমাপ্ত ২০১৩ সালে পাঠিয়েছেন এক হাজার ৩৮৩ কোটি ৮০ লাখ (১৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন) ডলার।
শতকরা হিসাবে এই সময়ে রেমিটেন্স কমেছে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেমিটেন্স সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর আগের বছরগুলোতে পূর্বের বছরের চেয়ে রেমিটেন্স বেশি এসেছে।
এতদিন সে ধারাবাহিকতাই চলে আসছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে সেটা আর ধরে রাখা যায়নি।
তবে রেমিটেন্স প্রবাহ নিম্নমুখি হলেও বিদেশি মুদ্রার মজুদ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার দিন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৮ দশক ০৮ বিলিয়ন ডলার।
এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রেমিটেন্স প্রবাহে কিছুটা ধীর গতি থাকলেও রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। প্রকল্প সাহায্যের গতিও ভালো। আমদানি ব্যয় খুব একটা বাড়েনি।”
বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার রেমিটেন্সের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৬৭৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে।
গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৭৪০ কোটি ১৭ লাখ ডলার।
শতাংশ হিসাবে এই ছয় মাসে রেমিটেন্স কমেছে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।
সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে এসেছে ১২১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১২৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।