মুদ্রা নীতি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত নতুন মুদ্রা নীতি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2017, 03:53 PM
Updated : 26 July 2017, 03:53 PM

ঘোষিত এই মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবাহ কমিয়ে ধরায় সংশয়ী হলেও বিনিয়োগ ‘সঠিকভাবে’ হলে তার নেতিবাচক প্রভাব এড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

মূল্যস্ফীতি বাড়ার প্রবণতার মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণের চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে সরকারি-বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমিয়ে অর্থবছরের প্রথম ভাগের জন্য নতুন মুদ্রানীতি বুধবার ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই মুদ্রানীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি এ হাফিজ।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবারের মুদ্রানীতিতে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার দ্রুত কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে, এটা পুঁজিবাজারের জন্য একটা সুখবর।”

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর বিষয়টিকে স্বাগত জানালেও ঋণ প্রবাহ কম ধরায় কিছুটা সংশয়ী।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমিয়ে ধরা হয়েছে, এটা একটু খারাপ। কিন্তু যেটা ধরা হয়েছে সেটুকু ঋণ যেন আসে এবং সেটা যেন ভালো বিনিয়োগ হয়, সে রাস্তা করতে হবে।”

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আশা করি, এই মুদ্রানীতি দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখবে।”

ঘোষিত মুদ্রনীতিতে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ। জানুয়ারি-জুন মেয়াদের মুদ্রানীতিতে এই লক্ষ্য ছিল ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ; আগেরবার ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়লেও অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি কম ধরাকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলছেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তবে যেটুকু অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে, সেটা যদি সঠিকভাবে বিনিয়োগ হয়, তাহলে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে।”

ঋণের প্রবৃদ্ধি কম ধরাকে সমস্যা মনে করছেন না ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটাকে আমি অর্থনীতির জন্য বড় সমস্যা মনে করি না। আমাদের দেখতে হবে যে টাকা ব্যাংকগুলো দেবে, সেগুলো যেন সঠিকভাবে বিনিয়োগ হয়। তা যেন মানুষের জন্য কাজ করার জায়গা তৈরি করে।”