বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পক্ষে সংসদে প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৯৭ কোটি ডলার (৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি) পাচার হয়েছে বলে সোমবার প্রকাশিত ‘ইলিসিট ফাইনানশিয়াল ফ্লোজ টু অ্যান্ড ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিজ: ২০০৫-২০১৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তথ্য দেয় জিএফআই।
ওয়াশিংটনভিত্তিক এই গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল- এই ১০ বছরে বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়ায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।
বৈদেশিক বাণিজ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও অন্যান্য অবৈধ পথে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনের ভাষ্য।
এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আজকাল সারাবিশ্বে তথ্য প্রবাহের যে অবাধ যাতায়াত সেখানে সংশয়ও আছে। তবে এই তথ্য আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।”
“বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইনানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এই পাচার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে, তদন্ত করবে। এই ধরনের প্রবণতা যাতে রোধ করা যায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন আরও বলেন, “চুরি অহরহ হবে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে।”
বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বলেছেন, পাচারের তথ্যের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদে বিবৃতি দাবি বাদলের
৭০ হাজার কোটি টাকা পাচারের যে তথ্য গ্লোবাল ফাইনানশিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) প্রকাশ করেছে, সে বিষয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন জাসদের সংসদ সদস্য মইনউদ্দীন খান বাদল।
তিনি বলেন, “অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি আশা করি। অন্য কাজ বন্ধ করে আমাদের সংসদে উত্তর দেন।
“এই টাকাটা যাচ্ছে কীভাবে? এরা কারা? তাও আমরা চিনছি না। কারা পাচার করছে? কারা এই ভদ্রলোক?”
“২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশ থেকে ৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। পাচারকারীদের হাত অনেক লম্বা অর্থমন্ত্রী এ কথা বলে খালাস হলে চলবে না। পরিষ্কার জবাব চাই,” বলেন তিনি।
টাকা পাচার প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অর্থমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চেয়েছেন বাদল।
“দেশের উন্নয়ন চলছে, তবে এই ধরনের গর্ত থাকলে, যে গর্ত সব উন্নয়ন খেয়ে ফেলে তা থাকলে দেশকে আর মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছাতে হবে না, পেছন থেকে কোথায় থাকবে, তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।”