আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যব্স্থার আধুনিকায়নে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ

পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কীকরণ বার্তাসহ আবহাওয়া ও জলবায়ু তথ্য সেবা পদ্ধতির আধুনিকায়নে সরকারকে ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2017, 10:32 AM
Updated : 5 April 2017, 10:32 AM

বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ ঋণ সহায়তার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান চুক্তিতে সই করেন।

‘বাংলাদেশ আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবাসমূহের আঞ্চলিক প্রকল্প (বিডব্লিউসিএসআরপি)’ নামের এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের আবহাওয়া, পানি, দুর্যোগ ঝুঁকি এবং জলবায়ু তথ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবার মান উন্নত করবে।

প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪৮৭ উপজেলায় কৃষি আবহাওয়ার তথ্য ব্যবস্থাপনা পোর্টাল ও কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবাকেন্দ্রের উন্নয়নের পাশাপাশি চার হাজার ৫১টি ইউনিয়নে কৃষি আবহাওয়া প্রদর্শনী বোর্ড স্থাপন করা হবে। এতে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি কৃষক পরিবারের কাছে আবহাওয়া ও পানি সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেওয়া যাবে, যাতে তারা জলবায়ু সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা কাটানোর জন্য ভালোভাবে পরিকল্পনা করে ফসলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ- এই চার জেলার তৃণমূল পর্যায়ে আকস্মিক বন্যা, বজ্রপাত ও অনাবৃষ্টির আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, “বাংলাদেশে প্রায়ই আবহাওয়ার চরম রূপে বিভিন্ন দুর্যোগ দেখা যায়। নির্ভরযোগ্য বার্তা প্রচার ও আবহাওয়ার তথ্যের অভাবে প্রাণহানির পাশাপাশি কৃষির উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

কৃষি বাংলাদেশের জিডিপির ১৬ শতাংশের যোগান দেওয়ার পাশাপাশি এই খাতে ৪৫ ভাগ মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্ভরযোগ্য ও যথাযথ আবহাওয়া ও জলবায়ু তথ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্যোগ প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এই প্রকল্প কৃষকদেরকে জমি ও খামারে আবহাওয়ার বৈচিত্র্যের বিষয়ে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যাতে উৎপাদন বাড়বে।”

প্রকল্পটি আবহাওয়া ও জলবায়ু পর্যবেক্ষণ কাঠামো আধুনিকরণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে আগাম সতর্কবার্তার উন্নয়ন ঘটাবে বলে আশা প্রকাশ করে ইআরডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী শফিকুল আজম।