স্বাস্থ্য-পুষ্টির প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সেবার দক্ষতা ও সেবার মান উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2017, 12:51 PM
Updated : 21 March 2017, 12:51 PM

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গৃহীত পাঁচ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা।

স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে এটি একটি ধারাবাহিক কর্মসূচি। এর আগে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

চলতি অর্থবছর থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়ে আগামী ২০২২ সালের জুনে এ কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হবে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পটির জন্য বিশ্ব ব্যাংক ও জাতিসংঘের ইউএনএফপিএসহ আরও দুটি সংস্থার কাছ থেকে ১৮ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকার বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে। বাকি ৯৬ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, “এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা, প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, পুষ্টি সেবা, সচেতনতামুলক কর্মকাণ্ড, প্রশিক্ষণ- উচ্চ শিক্ষা, ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্য ব্যবস্থাপনা, মানব সম্পদের উন্নয়ন এবং গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।”

বৈঠকে এ প্রকল্পটিসহ ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প অুনমোদন দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক লাখ ৪ হাজার ১৮৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা জোগান দেওয়া হবে; বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ১৮ হাজার ৮৪৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমুহের উন্নয়ন প্রকল্প’। এর ব্যয় ৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা।

অনুমোদিত সরকারি কলেজগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৮০৬ কোটি টাকা।

এছাড়াও ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্প।

প্রায় ৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে ‘গৌরনদী টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প’। ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে ‘বিসিআইআর এর আইএমএমএম এ একটি খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প’।

প্রায় ৩২৯ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে ‘যশোর- বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক (এন-৭০৬) যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প’।

১৫৭ কোটি টাকায় বাস্তবায়ণ করা হবে ‘বগাছড়ি-নানিয়ারচর লংগদু সড়কের ১০ম কিলোমিটার চেংগি নদীর উপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্প’।

২৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে ‘ঢাকা শহরে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প’।