রোববার রাতে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সেমিনারে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে করপোরেট ট্যাক্সের হার বেশি, প্রতিবার এটা নিয়ে কিছু একটা করার ইচ্ছা থাকে।
“তবে এবার আশা করি কোনো একটা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করপোরেট কর ২৫ শতাংশ। আর যে কোম্পানি তালিকাভুক্ত নয় সেগুলোকে দিতে হয় ৩৫ শতাংশ হারে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় এই কর হার বেশি দাবি করে তা কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশ-আইসিএবি আয়োজিত ‘সহজ ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের উপায়’ শীর্ষক ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে ছিলেন ফরেন ইনভেস্টর’স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ-এর সভাপতি রুপালী চৌধুরী।
কালো টাকা অর্থনীতির জন্য সমস্যা মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়াটা সমস্যার কোনো সমাধান নয়, আমরা এবার এমন কিছু করতে চাই যেন কালো টাকা অর্থনীতিতে আর না বাড়ে। আমরা কালো টাকার উৎস নিয়ে কাজ করতে চাই।”
আইসিএবি সভাপতি আদিব হোসেন খান সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন আইসিএবি’র পর্ষদ সদস্য দেওয়ান নুরুল ইসলাম। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কৌশলপত্র উপস্থাপন করেন এর নির্বাহী সদস্য ও সচিব অজিত কুমার পাল।
সেমিনারে এক্সচেঞ্জ কন্ট্রোল রেগুলেশন এবং কোম্পানি আইনের সংস্কার দাবি করেন আইসিএবি’র কর্মকর্তারা।