বুধবার বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশটির সমঝোতা স্মারক সেই হয়েছে।
ঢাকায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ইআরডির জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুজ্জামান মনি ত্রিপক্ষীয় এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
ভারত সরকারের ‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প’ কর্মসূচির অর্থায়নে এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে খুলনার খালিশপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ছাড়াও বিদ্যালয়টির জন্য পরিপূর্ণ আসবাব সামগ্রী, ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফটোকপি মেশিন, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এবং একটি ৩৩ আসনের স্কুলবাস সরবরাহ প্রকল্পটির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, খুলনার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
তিনি বলেন, “এটা শুধু কলকাতার নিকটবর্তী বাংলাদেশের একটি নগরই নয়, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ।”
এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং শিগগিরই উদ্বোধন হতে যাওয়া খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে আশা প্রকাশ করেন শ্রিংলা।
এর আগে ২০১৩ সালের এপ্রিলে দুই দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক খাতে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প’ বিষয়ক সমঝোতা স্মারকের ধারাবাহিকতায় নতুন এই সমঝোতা স্মারক সই হল।
এছাড়া রাজশাহীতে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং সিলেটে ২৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একই ধরনের টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে ভারত।