সোমবার ঢাকায় বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী আজম নতুন এই আর্থিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
পরে বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের চার হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট স্থানান্তর ও সব ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির কাজে এই অর্থ ব্যবহৃত হবে।
আগের দুটি প্রকল্পের সফলতার ওপর ভিত্তি করে নতুন লোকাল গভর্নমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-থ্রি) সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ের ১১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ সুবিধা পাবে। এই প্রকল্পে ছয়টি বিভাগের ১৬টি পৌরসভার জন্য পরীক্ষামূলক ‘ফিস্কেল ট্রান্সফার সিস্টেম’ বা অর্থ সরবরাহ পদ্ধতিও চালু করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত পৌরসভাগুলোতে সেবার জোরদারে বর্ধিত থোক বরাদ্দা দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ধারাবাহিক এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে অর্থ সরবরাহ ১১ ধাপে বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “২০০৭ সালের প্রথমবারের মতো প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে ২ লাখ টাকার বাজেট থেকে বর্তমানে তা বেড়ে ২৩ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
“এলজিএসপি-থ্রি গতিশীল পরিবর্তনকে আরও এগিয়ে নেবে। এ ধরনের অর্থায়ন জনগণের সেবায় স্থানীয় সরকারের প্রয়োজনগুলো সমাধান করতে আরও কার্যকর হবে।”
২০০৬ সাল থেকে বিশ্ব ব্যাংক ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে থোক বরাদ্দ দিচ্ছে। এলজিএসপি-থ্রি প্রকল্পের চতুর্থ বছর থেকে সরকার জাতীয় বাজেটের বাইরে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর জন্য থোক বরাদ্দ দেবে।
প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে ওয়েবভিত্তিক মনিটরিং পদ্ধতির মাধ্যমে দেখভাল করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী আজম বলেন, “সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে কর্মসূচিতে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি করেছে।”
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করে আসছে বিশ্ব ব্যাংক। আর্থিক সহায়তা, সুদমুক্ত অর্থায়ন মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।