প্রকল্পগুলো হবে টাঙ্গাইল, পঞ্চগড়, বাগেরহাট, নীলফামারি ও লালমনিরহাটে। এসব প্রকল্প থেকে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুতের মধ্যে ২০০ মেগাওয়াট সরকারকে কিনতে হবে প্রতি কিলোওয়াট ১১ টাকার বেশি দামে।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান অনুমোদিত ক্রয়প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি জানান, চারটি প্রকল্পেই বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদি চুক্তি করবে সরকার। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর নির্ধারিত দামে সেই বিদ্যুৎ সরকার কিনে নেবে এবং তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এর মধ্যে টাঙ্গাইলে ৫০ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কনসোর্টিয়াম অব হানওয়া ৬৩ সিটি কোম্পানি লিমিটেড, বিজে পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং সোলার সিটি বাংলাদেশ লিমিটেড।
এই প্রকল্পের বিদ্যুৎ প্রতি কিলোওয়াট ১৩ সেন্ট দরে কিনবে সরকার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০ টাকা ৪০ পয়সার মত। ২০ বছরে সরকারের ব্যয় হবে আনুমানিক ১৬৮৪ কোটি টাকা।
পঞ্চগড় জেলায় অপর একটি কেন্দ্রে উৎপাদন হবে আট মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশের প্যারাগন পোল্ট্রি লিমিটেড ও প্যারাসোল এনার্জি লিমিটেড এবং হংকংয়ের সিম্বোইর সোলার সিয়াম লিমিটেড।
প্রতি কিলোওয়াট ১৩ সেন্ট দরে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ কিনতে সরকারের ২০ বছরে আনুমানিক ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
বাগেরহাটের ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এনারগন টেকনোলজিন এফজেডই ও চায়না সানারজি কোম্পানি লিমিটেড।
সরকার এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ কিনবে প্রতি কিলোওয়াট ১৩ দশমিক ৮ সেন্ট দরে। বাংলাদেশি মুদ্রায় পর পড়বে ১১ টাকা ৪ পয়সা করে। ২০ বছরে আনুমানিক ৩৫৭৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
নীলফামারি ও লালমনিরহাটে অপর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও হবে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। বাস্তবায়ন করবে কনসোর্টিয়াম অব ঝেজিয়াং ডান্যান নিউ এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড, চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন, সোলার টেক পাওয়ার লিমিটেড ও এমিটি সোলার লিমিটেড।
এ কেন্দ্রের প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরকারকে কিনবে ১৪ সেন্ট বা ১১ টাকা ২০ পয়সা দরে। ২০ বছরে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৩৬২৮ কোটি টাকা।