প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার ৩৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার আটটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ১০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সুবিধার উদ্বোধন করবেন বুধবার।
Published : 01 Mar 2017, 08:14 AM
সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আরও একটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও গ্রিড উপকেন্দ্র এবং পার্বত্য থানচি উপজেলায় বিদ্যুৎ সুবিধার উদ্বোধন করবেন বলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, নির্মাণ শেষে নতুন আটটি কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ইতোমধ্যে গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
এসব কেন্দ্রের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৫ মেগাওয়াট। বাকি পাঁচটি বেসরকারি খাতের।
রাষ্ট্রায়ত্ত তিন কেন্দ্রের মধ্যে শাহজিবাজারে ৩৩০ মেগাওয়াট ও আশুগঞ্জে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্র দুটি নতুন। আর খুলনায় ১৫০ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন বিদ্যুত কেন্দ্রকে ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেলে উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়া মানিকগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর ও বরিশালে পাঁচটি কেন্দ্র তৈরি হয়েছে বেসরকারি খাতে।
এই আট কেন্দ্র থেকে ইতোমধ্যে ১ হাজার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত অগাস্টে দেশের ছয় উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন।
বুধবার আরও ১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আসবে এবং আগামী জুনের মধ্যে ১০১টি উপজেলা এই সুবিধা পাবে বলে জানান নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে বলে সরকার আশা করছে।
দেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলা প্রথমবারে মত বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসছে বুধবার।
সেইসঙ্গে বিবিয়ানা-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন ও কালিয়াকৈর ৪০০/২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনক্ষমতার মাইলফলক পার হয়ে এসেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ক্ষমতা ৪০ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যেতে সরকার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।