রজপাড়া-পায়রা বন্দর সংযোগ সড়ক নির্মাণে নৌ বাহিনী

পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায় চার লেনের রজপাড়া-পায়রা বন্দর সংযোগ সড়ক নির্মাণে নৌ বাহিনীকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2016, 02:34 PM
Updated : 19 Oct 2016, 02:34 PM

সচিবালয়ে বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বাংলাদেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায় এই সংযোগ সড়ক নির্মাণে নৌ বাহিনীকে ২৫৪ কোটি ৫১ লাখ টাকায় কাজ দেওয়া হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ক্রয় কমিটির সভায় ছয়টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নে রামনাবাদ চ্যানেলের পশ্চিম তীরে ১৬ একর জমির উপর পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এক হাজার ১২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের মধ‌্যে এই সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মোস্তাফিজুর জানান, জাপান সরকারের ডিআরজিএ অ্যান্ড ডিআরজিএফ-সিএফ ঋণ সহায়তায় বাস্তাবায়নাধীন ‘পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ উন্নয়ন’ উপ-প্রকল্পে চীনের মেসার্স সিআরআরসি কোম্পানিকে ১১৬ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার টাকায় ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

“বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এক হাজার ৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার কাজটি পেয়েছে জংকিং ইন্টারন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন করপোরেশন।”

অতিরিক্ত সচিব জানান, ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডেটাবেইজ প্রকল্পের অধীন প্রশ্নপত্র মুদ্রণ, ডেটা অন্তর্ভুক্ত এবং আইসিআর প্রযুক্তির মাধ্যমে তা প্রক্রিয়াকরণে জেরক্স ইন্ডিয়া লিমিটেড, আইওই বাংলাদেশ লিমিটেড এবং জামার্নির টপ ইমেজ সিস্টেমকে ১১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় কাজ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডেটাবেইজ প্রকল্পের আওতায় ‘ট্রেনিং অন এএইচডি ডেটা কালেকশন’ প্যাকেজে ২৯ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় টিএমএমএসকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে ক্রয় কমিটি।

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চীন সরকারের অর্থায়নে জি টু জি ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মোস্তাফিজুর।

এগুলো হচ্ছে- মংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ এবং আখাওড়া-সিলেট রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর।