কর্ণফুলী টানেল: পরামর্শক দেশি-বিদেশি ৬ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজের পরামর্শক হিসেবে দেশি-বিদেশি ছয় প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2016, 10:38 AM
Updated : 19 Oct 2016, 10:38 AM

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মূল পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে অস্ট্রেলিয়ার এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড এবং ডেনমার্কের সিওডব্লিউআই।

সহযোগী হিসেবে থাকছে ওভিই-এআরইউপি অ্যান্ড পার্টনার হংকং লিমিটেড এবং বাংলাদেশের তিন প্রতিষ্ঠান এসিই কনসালটেন্ট লিমিটেড, ভেলপমেন্ট কনসালটেন্ট লিমিটেড ও স্ট্র্যাটেজিক কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে বুধবার ২৯১ কোটি টাকায় এসব প্রতিষ্ঠানেরসঙ্গে সেতু বিভাগের একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তির মেয়াদ ৬০ মাস।

বাংলাদেশের পক্ষে সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ আর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে এসএমইসির কারিগরি ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা প্রধান গ্যাভিন হেরল্ড স্ট্রিড চুক্তিতে সই করেন।

পরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এ প্রকল্প চীনের প্রস্তাবিত সিল্ক রোডের অংশ। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে এটি যুক্ত হবে।”

তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের বহুল প্রতিক্ষীত এ প্রকল্পটি মোট সাড়ে আট হাজার কোটি টাকায় বাস্তবায়িত হবে। এরমধ্যে ৭০ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের ঋণের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। চীনের সঙ্গে জি টু জি ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।”

গত ১৪ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় এই ঋণচুক্তি হয়। এছাড়া কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে চীনের সঙ্গে একটি কাঠামো চুক্তিও হয়েছে।

ওইদিন শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে কয়েকটি প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন, যার মধ্যে কর্ণফুলী টানেলও রয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, “কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে দুই লেন বিশিষ্ট দুটি টিউবের মাধ্যমে চারলেনের এ টানেল নির্মিত হবে। সাংহাইয়ের আদলে চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে গড়ে তুলতেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

“এ টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ হাজার ৫ মিটার। আর পুরো প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৯ হাজার ২৬৬ মিটার।”   

প্রস্তাবিত মিরসরাই-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কোম্পানি পুরো নির্মাণ কাজের তদারকি ও বিস্তারিত নকশা রিভিউ করবে।

কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের পূর্ব প্রান্তে ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনার কাজ চুড়ান্ত পর্য়ায়ে রয়েছে। শিগগির জেলা প্রশাসকের কাছে ভূমি অধিগ্রহণের সংশোধিত প্রস্তাব পাঠানো হবে।