মিরসরাই উপকূলে ১৮ কিলোমিটার বাঁধ

চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুরক্ষায় সমুদ্র উপকূলের প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 12:44 PM
Updated : 30 August 2016, 12:44 PM

সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশের নয়টি খালের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা পুনঃখনন হবে, নির্মাণ করা হবে ৯টি স্লুইস গেইট।

এজন্য একটি প্রকল্প মঙ্গলবার অনুমোদন দিয়েছে একনেক। প্রায় এক হাজার ১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ প্রকল্পটিসহ ৫টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলোর সম্মিলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা।

এর মধ্যে এক হাজার ৯৩২ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে, বাকি ৮৭৩ কোটি টাকা আসবে প্রকল্প সহায়তা থেকে।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “বৈঠকে এ (মিরসরাই) প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনার সময় সারাদেশে চলমান নদী ভাঙন রোধে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।”

মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশে বঙ্গোপসাগর থেকে ৮ হাজার ৪৫২ একর জমি জেগে উঠেছে। এই জমি ‘টেকসইভাবে’ টিকিয়ে রাখার জন্যই এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

সরকার আশা করছে, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিল্পাঞ্চল, নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জনসাধারণের আয় বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এর কাজ শেষ হলে ৩ হাজার ৪২১ হেক্টর এলাকাজুড়ে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। এর ফলে বিপুল পরিমাণে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আসার সুযোগ রয়েছে।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ‌্যে রয়েছে ‘জামালপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জামালপুর নার্সিং কলেজ স্থাপন’। ৭১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এ প্রকল্পটি ভারতীয় ঋণের অর্থে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভারতীয় ২০০ কোটি ডলারের ঋণের আওতায় আরও দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

সেগুলো হচ্ছে, প্রায় ৫৮১ কোটি ডলার ব্যয়ের ‘বিআরটিসির জন্য দ্বিতল, একতলা এসি ও নন এসি বাস সংগ্রহ’ প্রকল্প। আর ২১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বিআরটিসির জন্য ট্রাক সংগ্রহ’ প্রকল্প।

মুস্তফা কামাল বলেন, “বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আন্দোলনের নামে বিআরটিসির প্রায় ৪০০ বাস আগুন ও আঘাতে জর্জরিত করা হয়েছে। এগুলো প্রতিস্থাপন করার জন্যই এসব বাস কেনা হচ্ছে।”

অন‌্য প্রকল্পের আওতায় ভারত থেকে ৫০০ ট্রাক আমাদনি করা হবে। এরমধ্যে ১৫ টন ক্ষমতার ৩৫০টি, ১০ টন ক্ষমতার হবে ১৫০টি।

মন্ত্রী বলেন, “এ প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী কোস্টাল বিভাগের জন্য কিছু ট্রাক কভার্ড ভ্যান কেনার নির্দেশ দিয়েছেন।”

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন‌্য প্রকল্পটি হচ্ছে, ‘পিবিআই এর কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তদন্ত সহায়ক যন্ত্রপাতি ক্রয়’। এতে ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।