১৯৭৪ সালের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সতীর্থ অর্থনীতি-৭৪’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নিজেদের সুপারিশ তুলে ধরেছে।
সংগঠনের মহাসচিব এমদাদ খান ও সহ-সভাপতি মোস্তফা আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কর রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে করের হার না বাড়িয়ে এর ভিত্তি ও আওতা সম্প্রসারণের কথা বলেছে সংগঠনটি।
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের লভ্যতা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামোর যোগান নিশ্চিত করা, ঋণের সুদের হার কমানো ও কর অবকাশ দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
অর্থনীতির সাবেক শিক্ষার্থীদের এই সংগঠনটি মনে করছে, রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারা মনে করছে, পাইপলাইনে থাকা বিদেশি সহায়তার ব্যবহার বাড়ানো গেলে এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ ধরে গত ২ জুন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। বড় খরচ মেটাতে বাজেটে মূল্য সংযোজন করে মনোযোগ বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করে নতুন অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে রাখার আশার কথা শুনিয়েছেন মুহিত।
‘সতীর্থ অর্থনীতি-৭৪’ বলছে, প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার প্রস্তাবিত বাজেট দিয়েছে।
তারা আরও বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি ব্যয়ের আকার বাড়ানো হয়েছে অনেকখানি, একই সাথে রাজস্ব আদায়ে স্থির করা হয়েছে উঁচু লক্ষ্যমাত্রা।