পোশাক কারখানা সংস্কারে ‘সন্তুষ্ট’ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট

পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় সন্তোষ জানিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইপি) সফররত প্রতিনিধিরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2016, 01:19 PM
Updated : 12 Feb 2016, 01:49 PM

শুক্রবার পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানান প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বদানকারী জিন লাম্বার্ট।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় তারা সন্তুষ্ট। তবে তারা মনে করেন, শ্রমিক অধিকার ও মজুরির বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে।

বিকালে বিজিএমইএ ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

বৈঠকে পোশাক পণ্যের ‘ন্যায্যমূল্য’ নিয়েও আলোচনা হয় জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেশে ফিরে পোশাকের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপের প্রতিনিধিদলটি।

তাজরীন ফ্যাশন্সে অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর বিশ্ব ক্রেতা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স নামে দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থা গঠন করা হয়। কারখানার মানোন্নয়নে গৃহীত নীতিমালার বাস্তাবায়ন কাজের দেখভাল করছে সংগঠন দুটি।

বিজিএমইএ বলে আসছে, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সকে সঙ্গে রেখে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে প্রতিটি কারখানার জন্য গড়ে অতিরিক্ত প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।

ইউরোপের প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরার কথা জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিদেশি ক্রেতারা এটা-সেটা শর্ত জুড়ে দিয়ে এর বাস্তবায়ন চান। কিন্তু সেই তুলনায় পোশাকের ন্যায্যমূল্যের বিষয়টি তারা ভাবেন না। বৈঠকে ন্যায্যমূল্য নিয়েও ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

তিনি বলেন, আগামী দুই বছরেই বিজিএমইএভুক্ত পোশাক কারখানাগুলোর আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতে সক্ষম হবেন তারা। ফলে ২০১৮ সালের পর অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স প্রয়োজন হবে না।

কারখানার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতের বিষয়টি আমলে না নিয়ে কেউ ব্যবসা করতে পারবেন না বলেও এসময় সতর্ক করেন বিজিএমইএ সভাপতি।