বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নির্মল চন্দ্র ভূইয়া এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৫ সালে এসএমই খাতে এক লাখ ৪ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করা হয় এক লাখ ১৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। বিতরণ করা এ ঋণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিজেরাই নির্ধারণ করে থাকে।
নির্মল চন্দ্র ভক্ত বলেন, “শিল্প খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় এ উপ-খাতে ঋণ বিতরণ বাড়াতে উৎসাহিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বড় ঋণ চাহিদা কমে যাওয়ায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তারা সব সময় ব্যবসায় বেশি ঋণ দিতে উৎসাহ দেখায়। ২০১৬ সালেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ব্যবসা উপ-খাতে।
২০১৬ সালে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ৬২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ব্যবসায় বিতরণ করা হবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা দেওয়া হবে শিল্প খাতে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৩ দশমিক শুন্য ৮ শতাংশ। আর সেবা খাতে দেওয়া হবে ১৩ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে এসএমই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রায়, গভর্নর সচিবালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জি এম আবুল কালাম আজাদ, এসএমই বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল বশরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।