বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একটি ঋণচুক্তি হয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক সংস্থাটির।
রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং এডিবির পক্ষে ঢাকা মিশনের প্রধান কাজুহিকো হিগুচি চুক্তিতে সই করেন।
৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওই সঞ্চালন লাইন ১ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা প্রকল্পে ১২ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইআরডি সচিব বলেন, ‘প্রকল্পটি মোট ১৮ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হবে।
“এশীয় উন্নয়ন তহবিল (এডিএফ) থেকে সহজ শর্তে আসবে সাড়ে ৮ কোটি ডলার। আর তুলনামূলক কঠিন শর্তে অরডিনারি ক্যাপিট্যাল রিসোর্স (ওসিআর) হিসেবে আসবে সাড়ে ৩ কোটি ডলার।”
২০১৫ থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
সচিব বলেন, বাংলাদেশে অবকাঠামো খাতে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করতে কাঙ্ক্ষিত অবকাঠামো গড়ে তুলতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। তা ছাড়া বিদ্যুতের চাহিদাও ব্যাপক হার বাড়ছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে বিদ্যুতের ঘাটতি কিছুটা হলেও কমবে।
এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি কাজুহিকো হিগুচি বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুতের দ্রুত বর্ধনশীল চাহিদা পূরণে এডিবির এ সহায়তা কাজে লাগবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভেড়ামারা-বহরমপুর আন্তঃসংযোগ গ্রিডলাইন প্রথম চালু হয় ২০১৩ সালে। গ্রিডলাইন স্থাপন প্রকল্পে অর্থায়ন করেছিল এডিবি। এ লাইনের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সঞ্চালন করা যায়।
এ লাইনটির ক্ষমতা বাড়নো হলে বাংলাদেশ ভারতের বিদ্যুত সঞ্চালন ক্ষমতা দেড় হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এডিবির ঋণ ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করা যাবে।