‘মধ্যবিত্তের পাঁচ ভাগের এক ভাগ ব্যবসায়ী’

বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির চাকরির উপর নির্ভরতা কমছে; এদের পাঁচ ভাগের একভাগ এর মধ্যেই পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নিয়েছেন বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2015, 12:47 PM
Updated : 5 Nov 2015, 01:37 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক বছরের গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

‘বাংলাদেশে মধ্যবিত্তের আকার ও প্রবৃদ্ধি’ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেন বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন।

তিনি বলেন, “মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন আর শুধুমাত্র চাকরিনির্ভর নয়। মধ্যবিত্তের এক পঞ্চমাংশ এখন পেশায় ব্যবসায়ী।

“মধ্যবিত্ত শ্রেণি নির্ধারণে সর্বজনস্বীকৃত কোনো সংজ্ঞা নেই। সাধারণত কারো দৈনিক আয় দুই ডলার থেকে তিন ডলার হলে তিনি মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হন। এ আয় তিন ডলার থেকে চার ডলারের মধ্যে হলে ওই ব্যক্তি উচ্চ মধ্যবিত্তের অন্তর্ভুক্ত হবেন।”

এই হিসেবে ১৯৯০ সালের পরের ২০ বছরে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২০ শতাংশে উঠেছে বলে জানান এই উন্নয়ন গবেষক।

‘১৯৯০ সালে মধ্যবিত্ত জনসংখ্যা ছিল ৯ ভাগ, ২০১০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২০ ভাগ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ২৫ ভাগ ও ২০৩০ সালে ৩৩ শতাংশ হবে’ বলে পূর্বাভাস দেন বিনায়ক সেন।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির বিপরীতে মধ্যবিত্তে পরিণত হওয়ার হিসাবের ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করেছেন তিনি।

বিআইডিএসের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারে আরও দুটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা করা হয়।

সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “মধ্যবিত্তের সম্পর্কে আমাদের তথ্য জানা দরকার। মধ্যবিত্ত যত শক্তিশালী হবে অর্থনীতি ততই টেকসই হবে। সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অবস্থার উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

“প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত করতে আমাদের এখনো অনেক কাজ করতে হবে। এখনো আমরা বেদে জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু করতে পারিনি। তাদেরকে মূল স্রোতে আনতে পারিনি।”

এজন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছেই কর পাওনা আছে। এসব প্রতিষ্ঠান কর না দিয়ে আদালতের আশ্রয় নেয়।”

বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুরশিদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।