কর্মী পাচ্ছে না পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করার জন্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন অন্য ব্যাংকগুলো থেকে কর্মী চাওয়া হলেও কেউ সাড়া দিচ্ছে না।

শেখ আবদুল্লাহবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2015, 04:27 PM
Updated : 26 August 2015, 04:34 PM

১৪ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে  সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি পাঠিয়ে নতুন ব্যাংকটিতে প্রেষণে কর্মকর্তা পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ওই চিঠিতে কোন ব্যাংক থেকে কোন কোন কর্মকর্তাকে প্রেষণে পাঠানো হচ্ছে, তা জানানোর জন্য ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।

প্রত্যেকটি ব্যাংক থেকে নয়জন করে কর্মকর্তা পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন একজন মহাব্যবস্থাপক, একজন উপ মহাব্যবস্থাপক, দুজন সহকারী মহাব্যবস্থাপক, একজন সিস্টেম এনালিস্ট, একজন প্রোগ্রামার ও একজন সহকারী সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার। 

কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাংকের সাড়া না পাওয়ায় ১১ অগাস্ট আবারও কর্মকর্তা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয় ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের।

এ বিষয়ে একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রথমত আমার ব্যাংকে বিভিন্ন পর্যায়ে কয়েকশ’ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। দ্বিতীয়ত কর্মকর্তারা নতুন ওই ব্যাংকে যোগদান করতে চাচ্ছেন না।

“আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি সার্কুলার করে সবাইকে জানিয়েছি। কিন্তু কেউ আগ্রহ দেখায়নি। যে কারণে সময়মতো অর্থ মন্ত্রণালয়কে জবাব দেওয়া সম্ভব হয়নি।”

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পই হচ্ছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক

‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পে পল্লী এলাকার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঞ্চয় ও অর্জিত অর্থ লেনদেন ও রক্ষণাবেক্ষণ, ঋণ ও অগ্রিম প্রদান এবং বিনিয়োগের জন্য সরকার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে।

এক বছর আগে আইন হলেও এখনও ব্যাংকটির কার্যক্রম শুরু হয়নি। ব্যাংকটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বা শাখা খোলা কিছুই হয়নি।

বর্তমানে শুধু প্রকল্পে কাজ করার জন্য কিছু জনবল নিযুক্ত আছেন।ব্যাংকটির চেয়ার‌ম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক পল্লী ও সমবায় সচিব মিহির কান্তি মজুমদারকে।   

আগামী বছরের জুনে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মেয়াদ শেষে সব কর্মকাণ্ড পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আওতায় চলে যাবে।

২০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গঠন করা হলেও এর মধ্যে ১০২ কোটি টাকা সরকার এখন পর্যন্ত জমা দেয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ব্যাংকটির বাকি ৯৮ কোটি আসবে প্রকল্পের আওতায় গঠিত সমিতির অংশীদারদের কাছ থেকে।