বস্ত্র খাতে ৩৫ কোটি ডলার দিতে চায় চীন

বাংলাদেশের বস্ত্র খাতে ৩৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে চীন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2015, 01:55 PM
Updated : 25 August 2015, 01:55 PM

মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের বিনিময়পত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে এ তথ্য জানিয়েছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী তাও হুচাং।

সচিবালয়ে বিনিময়পত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  

আবদুল মুহিত বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে বেশ কিছু প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেগুলোর ফলোআপ করেছি। চীন সেসব প্রস্তাবের সবগুলোই গ্রহণ করেছে।”

“বাংলাদেশের সাথে চীনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা অনেক বড় হচ্ছে। তবে এখন সেটা অনেক এক্সপান্ড করেছে।”

রেলওয়ে, পাট, সেতু ও টানেল খাতে চীনের বিনিয়োগের আগ্রহের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “তারা বাংলাদেশে বস্ত্র খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। তবে তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে মিয়ানমার হয়ে কুনমিং পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে। আমরা তাদের বলেছি ওই ১৭০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২৩ কিলোমিটার আমরা নির্মাণ করে দেব। এটি আমাদের মন্ত্রিসভায় অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।”

চীন বাংলাদেশে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করার প্রস্তাব দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

মুহিত বলেন, “তবে আমরা এখনো তাতে রাজি হইনি। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আরও অনেক কোম্পানি।”

তিনি বলেন, “চীন আমাদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে যে অর্থায়ন করতে রাজি হয়েছে তাতে তারা যে সুদ প্রস্তাব করেছে সেটাও পুনর্বিবেচনা করবে। আশা করছি সুদ কমবে। ইতোমধ্যে আমরা যে তিনটি প্রকল্পে অর্থ নিয়েছি সেখানে ডাউন পেমেন্ট দেওয়ার কথা ছিল। আমরা দিইনি। তারাও কিছু বলেনি।”

এদিকে ঢাকার পূর্বাচল উপশহরে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীন সরকার আরও ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা অনুদান দেবে।

এ বিষয়েও চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও চীনের পক্ষে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী তাও হুচেং স্বাক্ষর করেন।

একই সময়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনার জন্য ৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার অনুদানের চুক্তি হয়েছে তাদের মধ্যে।

বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার প্রকল্পের অধীনে ১৫০০ গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণসহ ৮০০টি প্রদর্শনী বুথ এবং পাবলিক ও কারিগরি সহযোগিতা সুবিধা দেবে চীন।

নকশা অনুযায়ী প্রকল্পের গাড়ি পার্কিংসহ অবকাঠামো নির্মাণের মোট আয়তন হবে ৩৩ হাজার বর্গ মিটার। এই প্রকল্পে মোট খরচ হবে ৭৯৬ কোটি টাকা।