নতুন শুল্ক আইন ব্যবসাবান্ধব হবে: অর্থমন্ত্রী

সংসদের আগামী অধিবেশনে উঠতে যাওয়া নতুন শুল্ক আইন ব্যবসাবান্ধব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2015, 04:52 PM
Updated : 17 August 2015, 04:52 PM

সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আইনটি নিয়ে চার দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

মুহিত বলেন, “নতুন আইনটি সংশোধিত কিয়োটো কনভেনশন ও ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিওসিও) কাঠামো অনুযায়ী হচ্ছে। ফলে এটি ব্যবসাবান্ধব হবে।

“নতুন আইনে আমদানি-রপ্তানিতে অটোমেশনসহ বেশকিছু উদ্যোগ থাকায় ব্যবসায়ীদের হয়রানিও কমবে।”

অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান জানান, সংসদে পাশ করার জন্য আইনটি আগামী অধিবেশনে উঠতে যাচ্ছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনটির খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। এ লক্ষ্যে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে শেষ সময়ের পরামর্শ ও আলাপ-আলোচনা চলছে। এরই অংশ হিসেবে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, ঢাকায় জাপানি রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন আইনে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিল অব এন্ট্রি দাখিলের ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক ডিক্লারেশন ও অটোমেশনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আমদানি-রপ্তানির কিছু প্রক্রিয়ায় শুল্ক ও কর প্রদান ছাড়াই কেবলমাত্র ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ থাকছে। আমদানিকারকদের পণ্য পরীক্ষা ও খালাসের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মান অনুসরণ করা হবে।

এনবিআরের শুল্ক সংক্রান্ত যে কোনো প্রজ্ঞাপন (এসআরও), আদেশ বা বিধি গঠনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। এসব প্রজ্ঞাপন বা আদেশ বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশ করাসহ বেশ কিছু উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। কর্মকর্তাদের অবাধ ক্ষমতাও সীমিত করা হচ্ছে নতুন এই আইনে।

বর্তমানে আমদানিকৃত চালান দীর্ঘদিন বন্দরে ফেলে রাখা হয়। কিন্তু নতুন আইনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে সুদসহ শুল্ক ও কর প্রদান করতে হবে।

এসব উদ্যোগকে ব্যবসাবান্ধব বলে মনে করছেন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।

তিনি বলেন, আইনটিকে আরো যুযোপযোগী করতে এফবিসিসিআইআই ইতিমধ্যে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। তবে গ্রীন চ্যানেলের আওতায় আমদানি-রপ্তানিকে গতিশীল করতে কিছু ব্যবসায়ীকে এইও (অথরাইজড ইকোনমিক ডিলার) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে অল্প কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়া নতুন আইনটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। এই আইনের পুরো সুবিধা পেতে হলে আইনকে ব্যবসায়ীদের মন থেকে গ্রহণ করতে হবে।

এ জন্য তিনি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চান।