একইসঙ্গে এসব অঞ্চলের জনগোষ্ঠী জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া এবং কৃষিঋণ দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এবিষয়ে আলাদা সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, “আঙ্গরপোতা ও দহগ্রামসহ বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে একীভূত হওয়া ১১১টি ছিটমহলের অধিবাসীদের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য ন্যূনতম ১০ টাকা গ্রহণ করে ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব হিসাব খোলা বা পরিচালনার জন্য কোনো ধরনের চার্জ বা ফি নেওয়া যাবে না।”
আরেক সার্কুলারে বলা হয়, এই এলাকার জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ‘১০ টাকার হিসাবধারী ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, ভূমিহীন কৃষক, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত আয়ের পেশাজীবী ও প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন তহবিল’ এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কৃষিঋণ বিভাগ থেকে জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়, “এ অঞ্চলের সার্বিক অর্থনেতিক উন্নয়ন, ভুমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা ও দেশের অন্যান্য স্থানের মতো তাদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি ওই অঞ্চলের কৃষি কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য কৃষি ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা অনুযায়ী, এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে কৃষিঋণ বিতরণের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসব অঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থিত ব্যাংক শাখার মাধ্যমে এসব হিসাব খোলা ও পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণ বিতরণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আগের দিন আরেকটি সার্কুলার জারি করে এই এলাকার মানুষের জন্য অগ্রাধিকারমূলক সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর) গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ছিটমহল বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী, ভারতী ১১১টি ছিটমহল যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশি ৫১টি ছিটমহল যুক্ত হয়েছে ভারতের সঙ্গে।