কমানোর পরিকল্পনা থাকলেও রোববার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের উপস্থিতিতে এক সভায় আগের চেয়ে বাড়িয়েই এই লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত হয়।
সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসুসহ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার, এর বিপরীতে আয় হয় ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ শতাংশ কম আয় হয়েছিল ওই অর্থবছর, যার তিন মাস কেটেছে রাজনৈতিক সহিংসতায়।
গেল বছর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় নতুন অর্থবছরে প্রথমবারের মতো রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আগের বছরের চেয়ে কম ধরা হবে বলে ইপিবি প্রধান শুভাশীষ জানিয়েছিলেন।
কিন্তু রোববারের বৈঠকে সব খাতের প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে গতবারের চেয়ে ৩০ কোটি ডলার বেশি লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়।
নতুন বছরে নিট পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। উভেন রপ্তানি বাড়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে উভেন পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ ১৩ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। নিট পোশাক থেকে এসেছে ১২ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।