৪০৪ মেট্রিক টন গ্লিসারিন আত্মসাৎ মামলার আসামি চট্টগ্রাম বন্দরের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
Published : 30 Aug 2017, 01:49 PM
বুধবার দুপুরে বন্দরের নিলাম শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বন্দরের সহকারী পরিদর্শক (পরিবহন) মনোয়ার হোসেন, উচ্চমান বহিঃসহকারী নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও পুলক কান্তি দাশ।
গ্রেপ্তারের পর তাদের নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সেখানে দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৪টি কন্টেইনারে থাকা ৪০৪ মেট্রিক টন ক্রুড গ্লিসারিন নিলামে কেনার পর নিলাম মূল্য ৭০ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ওই পণ্য অবৈধভাবে বন্দর থেকে বের করে নেওয়া হয়।
“আত্মসাত করা এসব গ্লিসারিন দুই ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হালিশহরের একটি ওয়ার্কশপ থেকে এই গ্লিসারিন উদ্ধার করে কাস্টমস কর্মকর্তারা।”
এ ঘটনার তদন্ত শেষে বুধবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান ১১ জনকে আসামি করে হালিশহর থানায় মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহসীন আলী ও মো. আবদুস সিদ্দিক, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল অফিসার শাহাদাৎ হোসেন মজুমদার, সহকারী পরিবহন পরিদর্শক এম এম সুলতানুল আলম ও মনোয়ার হোসেন এবং উচ্চমান বহি:সহকারী নূরুল ইসলাম চৌধুরী ও পুলক কান্তি দাশ, গ্লিসারিনের ক্রেতা মোশারফ হোসেন মাসুম ও দেলোয়ার হোসেন, নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা খলিলুর রহমান ও সাইফুল হায়দার চৌধুরী, ।
মামলার পরই দুদকের একটি দল অভিযান চালিয়ে তিন বন্দর কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দন।
গ্রেপ্তারদের বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরীর আদালতে তাদের হাজির করা হয় বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের করা মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩ জুলাই চারটি কন্টেইনারে থাকা এক লাখ ২৫ হাজার ৪৪০ কেজি ক্রুড গ্লিসারিন ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা নিলাম দরে কেনেন খলিলুর রহমান।
ওই বছরের ২৯ জুলাই অন্য ১০ কন্টেইনারে থাকা দুই লাখ ৭৯ হাজার ৩১৮ কেজি ক্রুড গ্লিসারিন ৪০ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় নিলামে কেনেন সাইফুল হায়দার চৌধুরী।
নিলাম মূল্য সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ‘জাল নথি’ ব্যবহার করে ২০১৫ সালের ২০ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন্দর থেকে ওই ১৪টি কন্টেইনার নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৪০৯,৪২০,৪৬৭,৪৬৮,৪৭১,২০১ ও ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।