জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ইউএনডব্লিউটিওর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের যৌথ কমিশন সম্মেলন চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে।
Published : 15 May 2017, 09:17 PM
ইউএনডব্লিউটিওর ২৯তম এই যৌথ কমিশন সম্মেলনে দি ইউএনডব্লিউটিও কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিক (ক্যাপ) ও দি ইউএনডব্লিউটিও কমিশন ফর সাউথ এশিয়ার (সিএসএ) সঙ্গে ইউএনডব্লিউটিও ফোরাম অন ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট অংশ নিয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল র্যাডিসনে বে ভিউতে তিন দিনব্যাপী এ সম্মলনে শুরু হয়েছে বলে বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ইউএনডব্লিওটিও জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। সংস্থাটি সদস্য দেশসমূহের পর্যটন শিল্পের প্রচার, প্রসার ও উন্নয়নে কাজ করে থাকে।
নগরীর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান মেনন বলেন, ইউএনডব্লিউটিও জয়েন্ট কমিশন মিটিং অব ক্যাপ অ্যান্ড সিএসএ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার একটি বৃহৎ ইভেন্ট।
তিন দিনব্যাপী এ ইভেন্টে ক্যাপভুক্ত ২১টি ও সিএসএ ভুক্ত নয়টি দেশের মন্ত্রী, সচিব, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
সদস্য দেশসমূহের ডেলিগেট, আমন্ত্রিত অতিথি, পর্যবেক্ষকসহ মোট ৩০০ প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে বলে জানান রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসারত ১৪টি পাঁচ তারকা হোটেলের পাশাপাশি আরও অনেক ইন্টারন্যাশনাল চেইন হোটেল বাংলাদেশে আসার জন্য নিবন্ধিত হচ্ছে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতে পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে বিপিসি একটি পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান রাশেদ খান মেনন।
বিশ্বে পর্যটন শিল্প প্রতি আড়াই সেকেন্ডে একজনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন পর্যটকের আগমনে সেবাখাতে এগার জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়। পরোক্ষভাবে কাজ পান ৩৩ জন।
“অর্থাৎ এক লাখ পর্যটক আগমনের সাথে সাথে এগার লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। যদি কোনো স্থানে দশ লাখ পর্যটক নিয়মিত আসা-যাওয়া করে তাহলে সেখানে স্থায়ী কর্মসংস্থান হয় এক কোটি ১০ লাখ মানুষের। পর্যটনের এ সম্ভাবনাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।”
এছাড়া ২০১৪ সালে এভিয়েশন খাতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট যাত্রী ছিল নয় মিলিনয় বা ৯০ লাখ। ২০৩৫ সালে এ সংখ্যা দুই কোটি ১০ লাখে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের মানুষকেই পর্যটন স্পটগুলোকে আবিষ্কার করতে হবে। দেশের মানুষ গেলে একসময় বিদেশিরাও আসবেন এসব স্পটগুলোতে।
দেশের ব্যবসায়ীদের এ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে ইনু বলেন, দেশি বিনিয়োগ হলে পর্যটন শিল্পে বিদেশিরাও এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমরান।